
বনগাঁ: বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার (SIR) সময় সজাগ থাকতে দলের কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এসআইআর-র সময় রাজনৈতিক দলগুলির বুথ লেভেল এজেন্ট-২’দের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আর সেই বিএলএ-২’দের সঙ্গে বৈঠক করতে গিয়েই উষ্মা প্রকাশ করলেন তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস। যথারীতি হাত তুলে বিএলএ-২’দের উপস্থিতি খতিয়ে দেখলেন তিনি। আর এই বৈঠকে বিএলএ-২’দের কম উপস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বললেন, “টুকলি করলে পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি পাব। কিন্তু বাগদা বিধানসভা অধরা থেকে যাবে।”
উওর ২৪ পরগনার বাগদা বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে হেলেঞ্চা নেতাজি শতবার্ষিকী কমিউনিটি হলে রবিবার বিএলএ-২’দের নিয়ে বৈঠকের আয়োজন করেছিল শাসকদল। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বজিৎ দাস , বাগদার বিধায়ক মধুপর্ণা ঠাকুর, বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুদেবী মণ্ডল, বাগদা পশ্চিম ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি নিউটন বালা, বাগদা পূর্ব ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কিঙ্কর মণ্ডল-সহ ব্লক ও জেলাস্তরের নেতৃত্ব।
এদিন মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বিএলএ ২-‘দের হাত তুলে উপস্থিতি দেখেন। কয়েকটি পঞ্চায়েতে উপস্থিতি কম থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কেন বাকিরা বৈঠকে আসেননি, তা জানতে চান নেতাদের কাছে। নাম পরিবর্তনের নির্দেশ দেন। বলেন, ” যাঁরা লড়াই করতে চাইছেন, তাঁদের মাঠে নামাও।”
সেইসময়ই তিনি বলেন, “বিএলএ-২ কাজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভাবের ঘরে চুরি করে কোনও লাভ হবে না। যদি এখানে টুকলি করতে যাই, হবে না। তাহলে কিছু পঞ্চায়েত পাব, কিছু পঞ্চায়েত সমিতি পাব। কিন্তু বাগদা বিধানসভা অধরা থাকবে। এটা তো তিনমাসের কাজ। এই তিনমাস কাজ করলে আমরা কাছে যে সুযোগ পেয়েছি, বাগদা আসনে ঐতিহাসিক ভোটে জিততে পারি।” পরে তিনি বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশ অনুসারে কাজ করার জন্য বার্তা দেওয়া হয়েছে।”