Abbas Siddique: ‘ভাইজান বেনিয়ম করেছেন’, মাদ্রাসা উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার দেগঙ্গায়!

TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury

Oct 06, 2021 | 2:18 PM

Deganga: তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের পাল্টা অভিযোগ, আইএসএফ নেতা নিয়ম ভেঙে  মাদ্রাসা তৈরি করতে গিয়েছিলেন। সে বিষয়ে প্রশ্ন করতে যাওয়ায় আব্বাস কোনও উত্তর দেননি।

Abbas Siddique: ভাইজান বেনিয়ম করেছেন, মাদ্রাসা উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার দেগঙ্গায়!
দেগঙ্গায় আব্বাস সিদ্দিকী, নিজস্ব চিত্র

Follow Us

উত্তর ২৪ পরগনা: ভোট পরবর্তী দেগঙ্গাতে এসে হামলার মুখে আইএসএফ (ISF) নেতা পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী। বুধবার সকালে, দেগঙ্গা আমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ বরুণী এলাকায় একটি মাদ্রাসার উদ্বোধনে এসেছিলেন আব্বাস। সেখানেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, আব্বাসের গাড়ি ঘিরে ধরে তৃণমূল (TMC)  আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিক্ষোভ দেখায় ও গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করে।

আইএসএফ সমর্থকদের অভিযোগ, এদিন আব্বাস সিদ্দিকী একটি  মাদ্রাসার উদ্বোধনে আসেন। সেখানে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা তাঁর উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে। যদিও গাড়ি থেকে নামেননি ‘ভাইজান’। পরিস্থিতি উত্তপ্ত বুঝে তিনি গাড়ি ঘুরিয়ে চলে যান। এক আইএসএফ কর্মীর কথায়, “ভাইজান এখানে এসেছিলেন একটি মাদ্রাসার উদ্বোধনে। সেখানেই তাঁকে তৃণমূলের কিছু দুষ্কৃতী এসে পথ আটকায়। মারধর করার চেষ্টা করে। ভাইজান অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে ফিরে যান।”

পাল্টা, এই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের পাল্টা অভিযোগ, আইএসএফ নেতা নিয়ম ভেঙে  মাদ্রাসা তৈরি করতে গিয়েছিলেন। সে বিষয়ে প্রশ্ন করতে যাওয়ায় আব্বাস কোনও উত্তর দেননি। এমনকী, তাঁর গাড়ির চাকা এক  শাসকদলের কর্মীর পায়ের উপর দিয়ে চলে যায়। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তারপর, আইএসএফ কর্মী সমর্থকেরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ।

আব্দুল মণ্ডল নামে এক তৃণমূল কর্মী বলেন, “বরুণী এলাকায় মেয়েদের একটা মাদ্রাসা রয়েছে। সেই মাদ্রাসার পাশেই বহিরাগত ছেলেদের নিয়ে একটা মাদ্রাসা  তৈরি করতে যান ভাইজান। আমরা সে বিষয়ে কথা বলতে গিয়েছিলাম। কারণ, আব্বাস বেআইনি কাজ করছেন। পাশাপাশি ছেলেমেয়েদের মাদ্রাসা হলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা গ্রামের ভাল চিন্তা করেই গিয়েছিলাম। কিন্তু আইএসএফের লোক আমাদের উপর হামলা চালায়। আমাদের এক কর্মীর পায়ের উপর দিয়ে গাড়ি চলে গিয়েছে।”

এদিন পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠলে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশ। আইএসএফ নেতা পুলিশের সহযোগিতায় ঘটনাস্থল থেকে চলে যেতে সক্ষম হন। যদিও, ঘটনায় বিজেপির দাবি, তৃণমূলের সংস্কৃতি হল বিরোধীদের মুখ বন্ধ করা ও প্রতিরোধ করা। যদিও, ঘটনায়, আব্বাস সিদ্দিকীর তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, নির্বাচন আবহেও একাধিকবার সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দেগঙ্গা। পঞ্চম দফার ভোটের মুখে অশান্ত হয়ে ওঠে এলাকা। তৃণমূলের মিছিলে বোমাবাজি এবং হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে আইএসএফের বিরুদ্ধে। যদিও ঘটনার দায় অস্বীকার করে ভাইজান-গোষ্ঠী। তৃণমূলের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলার অভিযোগ  তোলে তারা।

ভোট আবহে, দেগঙ্গা ব্লকের কলসুর পঞ্চায়েতের চাঁদকাঠি বাজারে বাইক মিছিলের আয়োজন করেছিল তৃণমূল। সমর্থকরা অভিযোগ করে , সেই মিছিল চলাকালীন হঠাৎই আইএসএফ সমর্থকরা তাঁদের ঘেরাও করে। বোমা, লাঠিসোঁটা এবং পাথর নিয়ে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। জোড়াফুল শিবিরের তরফে অভিযোগ করা হয়, তাঁদের ১৫ থেকে ২০ জন সমর্থক জখম হয়েছেন। ঘটনার জেরে তেতে ওঠে এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামে পুলিশ বাহিনী। যদিও, সেই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল।

আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: ‘রবীন্দ্রনাথও আত্মহত্যা করতেন’, বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের ‘লাগামহীন নেশায়’ তোপ কেষ্টর!

আরও পড়ুন: Kaliachak: ফের ‘কুরুক্ষেত্র’ কালিয়াচক, আচমকা বোমা ফেটে জখম ২ শিশু!

 

Next Article