AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

তৃণমূল বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীকে ‘পেছন থেকে হামলা’, অশান্ত ‘অর্জুন গড়’

Raj Chakrabarty: আচমকা প্রায় ৩০ জন দুষ্কৃতী পেছন থেকে ঘরে ঢুকে সরাসরি বিধায়কের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। বাঁশ, লাঠি নিয়ে হামলা করা হয় বলে অভিযোগ।

তৃণমূল বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীকে 'পেছন থেকে হামলা', অশান্ত 'অর্জুন গড়'
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে গৃহীত।
| Edited By: | Updated on: Aug 29, 2021 | 7:35 PM
Share

উত্তর ২৪ পরগনা: ফের অশান্ত ‘অর্জুন গড়’। ব্যারাকপুরের তৃণমূলের (TMC) বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর বৈঠকে হামলার অভিযোগ। প্রায় ৩০ জন দুষ্কৃতী একযোগে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই হামলা করেছে বলে অভিযোগ শাসক শিবিরের। ঘটনায় ৬ জন তৃণমূল কর্মী জখম হয়। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। টিটাগড় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল।

তৃণমূলের (TMC) অভিযোগ, রবিবার বিকেলে ব্যারাকপুর স্টেশন লাগোয়া ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের একটি ঘরে হনুমান মন্দির সংস্কার নিয়ে বৈঠক করছিলেন বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী। উপস্থিত ছিলেন ব্যারাকপুর পুরপ্রশাসক উত্তম দাস, জেলার সহ-সভাপতি জয়জিত্‍ দাস ও অন্য়ান্য তৃণমূল নেতৃত্ব। সেইসময়, আচমকা প্রায় ৩০ জন দুষ্কৃতী পেছন থেকে ঘরে ঢুকে সরাসরি বিধায়কের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। বাঁশ, লাঠি নিয়ে হামলা করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় প্রায় ৬ জন তৃণমূল কর্মী আহত হন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অল্পের জন্য বেঁচে যান বিধায়ক। গুরুতর জখম ওই তৃণমূল কর্মীকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। টিটাগড় থানায় ইতিমধ্যেই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল।

তৃণমূল জেলা সহ-সভাপতি জয়জিত্‍ দাস বলেন, “বিধায়কের সঙ্গে আমরা হনুমান মন্দিরের সংস্কার নিয়ে কথা বলছিলাম। কীভাবে ওই মন্দির সংস্কার করা যায় তাই নিয়ে কথা হচ্ছিল। কিন্তু, সেইসময় কিছু দুষ্কৃতী আচমকা রড বাঁশ নিয়ে হামলা চালায়। বিধায়ককে পেছন থেকে মারার চেষ্টা করা হয়। অল্পের জন্য বেঁচে যান বিধায়ক। তাঁর নিরাপত্তা রক্ষীরা তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যান। তবে আমাদের কর্মীরা গুরুতর জখম হয়েছেন।” ঘটনায় টিটাগড় থানার পুলিশ মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। বাকি দুষ্কৃতীদের খোঁজ করা হচ্ছে। বিধায়কের উপর হামলার ঘটনায় ব্যারাকপুর সাংসদ অর্জুন সিং-কে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, বরাবরই সংবেদনশীল এলাকা বলে পরিচিত ব্যারাকপুর শিল্পনগরী। ভাটপাড়া, জগদ্দল-সহ  সমস্ত এলাকাই ‘অতি সংবেদনশীল’ বলে পরিচিত  ব্যারাকপুর চত্বর। সম্প্রতি ব্যারাকপুর কমিশনারেট চত্বরে যেভাবে একের পর এক  অপরাধের সংখ্যা বাড়ছে তাতে ক্রমেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে প্রায় আটটি নতুন থানা তৈরির অনুুমতি চেয়ে নবান্নে চিঠি দিল ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। পুলিশ সূত্রে খবর, লাকার বিভিন্ন থানার আয়তন ছোট হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে নতুন আট টি থানা। পুরোনো থানা গুলি থাকছে। কিন্তু তার কিছুটা অংশ কেটে তৈরি হবে নতুন থানা। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা জানিয়েছেন, চলতি বছরেই সবকটি থানা তৈরি হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। শনিবার, নবান্নে প্রেরিত চিঠিতে থানার কাজ দ্রুত শুরু করার রাজ্য সরকারের অনুমতিও চাওয়া হয়েছে। আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে ফের ১১ দিনের ‘শ্রীঘর-যাত্রা’ প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদের