Tapas Roy: ‘সে দিন ওদের আটকাতে পারলে আজ এই পরিস্থিতি দেখতে হত না’, ‘দুর্নীতি’ নিয়ে কীসের ইঙ্গিত দিলেন তৃণমূল বিধায়ক

Tapas Roy: বিধায়ক তাপস রায় বলেন, "অন্য দলের বদমায়েশগুলো নিজের মাটি শক্ত করার জন্য আমাদের দলে ঢুকে পড়েছে।" এখানেও সেই দায় বিরোধীদের ঘাড়েই দিলেন তিনি। শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার খড়দায় রবীন্দ্রভবনে দলের একটি কর্মসূচিতে অংশ নেন তাপস রায়।

Tapas Roy: 'সে দিন ওদের আটকাতে পারলে আজ এই পরিস্থিতি দেখতে হত না', ‘দুর্নীতি’ নিয়ে কীসের ইঙ্গিত দিলেন তৃণমূল বিধায়ক
তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 26, 2023 | 11:28 AM

খড়দহ: দুর্নীতি ইস্যুতে বিদ্ধ শাসকদল। প্রত্যেকদিনই নিত্য নতুন অভিযোগ আসছে সামনে। জড়িয়ে পড়ছে দলের একাধিক নেতা মন্ত্রী, বিধায়ক-সহ তৃণমূল নেতা ও তাঁদের ঘনিষ্ঠদের নাম। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর তার আগে শাসকদলকে বিঁধতে দুর্নীতি বাণে বিদ্ধ করছে বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে দলের জমি পুনরুদ্ধারে তৎপর তৃণমূল। বিভিন্ন জায়গায় দলীয় কর্মসূচিতে এখন দলীয় নেতৃত্বরা সেই চেষ্টাই করছেন। সেরকমই একটি বিষয়ে বলতে গিয়ে বিধায়ক তাপস রায় বলেন, “অন্য দলের বদমায়েশগুলো নিজের মাটি শক্ত করার জন্য আমাদের দলে ঢুকে পড়েছে।” এখানেও সেই দায় বিরোধীদের ঘাড়েই দিলেন তিনি। শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার খড়দায় রবীন্দ্রভবনে দলের একটি কর্মসূচিতে অংশ নেন তাপস রায়।

বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “নিজের পায়ের তলার মাটি শক্ত করার জন্য অন্য দলের বদমায়েশগুলো আমাদের দলে ঢুকে পড়েছে। তারা চায় সরকারি দলের সঙ্গে থাকতে। তারা খুঁজেও পেল আমাদের কাউকে কাউকে। আর তারা ঢুকে পড়ল আমাদের দলে। তারা আমাদের দলে ঢুকে নিজেদের কাজ করছে। এই জায়গাটা আমরা আটকাতে পারিনি। এই জায়গাটা যদি আমরা আটকাতে পারতাম তাহলে আজকে আমাদের এই পরিস্থিতি দেখতে হতো না।”

প্রসঙ্গত, শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জালে ধরা পড়েছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব, বিধায়করা। নাম জড়িয়ে একের পর এক যুব নেতারও। সে কুন্তল ঘোষই হোক, কিংবা শান্তনু সেন। তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ দেখে রীতিমতো হতচকিত হয়েছে বাংলা। বর্তমানে দল যদিও তাঁদের বহিষ্কার করেছে। কিন্তু এতদিন দলের ছত্রছায়ায় থেকে কীভাবে কুবেরের ধন বানিয়েছেন শান্তনু-কুন্তলরা, তা কি আগে এক ফোঁটাও আঁচ করতে পারেননি শীর্ষ নেতৃত্ব? নাকি সবই অগোচরে। এরপর যুক্ত হয়েছে আবার পুরসভায় নিয়োগের দুর্নীতির তথ্যও। যত তদন্ত গুটিয়ে আনছে কেন্দ্রীয় দল, ততই চোখ ধাঁধিয়ে যাচ্ছে বাংলার মানুষের। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জনসংযোগ সুদৃঢ় করতে, মানুষের মন বুঝে নিতে একের পর এক কর্মসূচি নিচ্ছে শাসক তৃণমূল। নেতা-বিধায়করাও মাটি পুরনরুদ্ধারে খাঁড়া করছেন একের পর এক যুক্তি। তাপস রায়ের এই মন্তব্য সেরকমই এক প্রয়াস বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

কীভাবে ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার সম্ভব, দলীয় কর্মীদের তারও পাঠ দিচ্ছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। তাপস রায় বলেন, “ভুল ত্রুটি কি আমাদের নেই? আমাদেরও আছে ভুল ত্রুটি। সেগুলো সবাই শুধরে নেবেন। দম্ভ,অহংকার ছেড়ে আপনারা জনপ্রতিনিধিরা মানুষের কাছে যান। এই জন্যই আপনাদের দল ক্ষমতা দিয়েছে।”

শীর্ষ নেতৃত্বরা যথাযথ চেষ্টা করছেন কর্মীদের মনোবল চাঙা করতে, কিন্তু সেই প্রয়াস ভোটব্যাঙ্কে কতটা কার্যকরী হবে, সেটাই দেখার। এই নিয়ে বিজেপির তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।