‘ওর বন্ধুরাই খুন করেছে’, রাত থেকে নিখোঁজ তৃণমূল যুবকর্মী, সকালে খালের মধ্যে উদ্ধার রক্তাক্ত দেহ!
Murder: মৃত ওই তৃণমূল যুব কর্মীর পরিবার জানিয়েছে, কলেজে বেশ কিছু বন্ধু ছিল উত্পলের। এছাড়া আর বিশেষ কারোর সঙ্গেই মেলামেশা করতেন না তিনি। বছর চব্বিশের উত্পল দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। তৃণমূলের নানারকম কর্মসূচিতেই তাঁকে দেখা যেত।
উত্তর ২৪ পরগনা: বিগত একদিন ধরে নিখোঁজ তৃণমূল কর্মী (TMC) তথা টালিগঞ্জ আইটিআই কলেজের ছাত্র। শুক্রবার সকালে খালের মধ্য়ে থেকে উদ্ধার ওই ছাত্রের রক্তাক্ত দেহ। জানা গিয়েছে মৃত ছাত্রের নাম উত্পল বিশ্বাস। পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে খুন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ। বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থানার বাংলানী গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা।
মৃত ওই তৃণমূল (TMC) যুব কর্মীর পরিবার জানিয়েছে, কলেজে বেশ কিছু বন্ধু ছিল উত্পলের। এছাড়া আর বিশেষ কারোর সঙ্গেই মেলামেশা করতেন না তিনি। বছর চব্বিশের উত্পল দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। তৃণমূলের নানারকম কর্মসূচিতেই তাঁকে দেখা যেত। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টো নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান উত্পল। তারপর তাঁকে আর ফোন করে পাওয়া যায়নি। রাতে বাড়িতেও ফেরেননি উত্পল। শুক্রবার তাঁর রক্তাক্ত দেহটি তেঁতুলিয়ার ইছামতি খালের মধ্যে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। উত্পলের শরীরে একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, বন্ধুরাই উত্পলকে খুন করেছে।
মৃতের বাবা রতন বিশ্বাসের কথায়, “কারোর সঙ্গে ঝামেলায় জড়াবে এমন ছেলে নয় ও। সারাক্ষণই তো ওর কলকাতার কলেজের বন্ধুদের সঙ্গে থাকত। ওরাই ওকে খুন করেছে। অন্য কারোর সঙ্গে মেলামেশা করত না আমার ছেলে।” ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল নেতা বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, “আমাদের ধারণা ওকে এখানে খুন করার পর এনে ফেলা হয়েছে। ও তো বেশ ছোট ছিল। ওর বন্ধুরা সবই কলকাতার। তাদের ধরে জিজ্ঞেস করলেই সব সত্যি বেরিয়ে আসবে। উত্পলের কলকাতার বন্ধুরাই নিশ্চয় সব জানবে।” যুব তৃণমূলকর্মীর মৃত্য়ুর ঘটনায় জেলা পরিষদের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সম্বরণ মিস্ত্রী ও স্বরূপনগর ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহ-সভাপতি সঞ্জীব পালরা মর্মাহত।
স্বরূপনগর থানার পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহটি উদ্ধার করে ইতিমধ্য়েই ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর তদন্তকারীদের অনুমান, উত্পলকে খুন করা হয়েছে। তবে নিজ এলাকায় খুন হননি তিনি। ওই পড়ুয়াকে খুন করে এনে তারপর পুকুরের মধ্যে দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে। মৃত ছাত্রের একটি মোবাইল ফোন পাওয়া গিয়েছে। মোবাইলে শেষ কাকে ফোন করা হয়েছে, শেষ লোকেশন কী ছিল, কললিস্ট খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ঘটনাস্থলে ইতিমধ্য়েই বাদুড়িয়ার এসডিপিও অভিজিৎ সিনহা মহাপাত্র এসে উপস্থিত হয়েছেন। আরও পড়ুন: ভাণ্ডার পূর্তি ‘দালালে’, ‘লক্ষ্মী’ এল না ঘরে! শুধু ‘কাটমানির’ যাওয়া-আসা…