কলকাতা: সদ্য সমাপ্ত উপনির্বাচনে দারুণ ফল। গতবারের ২২ থেকে এক লাফে এবারে ২৯। উন্মাদনায় ফুটছে ঘাসফুল শিবিরের কর্মীরা। এরইমধ্যে এবার পালা উপনির্বাচনের। সেখানেও একের পর চমক দিতে দেখা গেল তৃণমূলকে। ঘোষণা হয়ে গেল রায়গঞ্জ, রানাঘাট দক্ষিণ, মানিকতলা, বাগদার প্রার্থীদের নাম। তাতেই দেখা যাচ্ছে বাগদা বিধানসভার উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছে কপিল কৃষ্ণ ঠাকুর ও মমতা বালা ঠাকুরের কন্যা মধুপর্ণা ঠাকুরকে। সাম্প্রতিককালে ঠাকুরবাড়ির একাধিক লড়াই-আন্দোলনে একেবারে সামনের সারিতে দেখা গিয়েছিল এই তরুণ মুখে। তাঁকেই এবার একেবারে ভোটে ময়দানে নামিয়ে দিয়েছে দল।
লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন পৈতৃক সম্পত্তি ফিরে পাওয়ার দাবিতে ঠাকুরবাড়িতে অনশনে বসেছিল এই মধুপর্ণা। এদিকে মধুপর্ণা টিকিট পাওয়ায় বিশ্বজিৎ দাসের ভবিষ্যৎ নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে জল্পনা। কৃষ্ণ কল্যাণী, মুকুটমণি অধিকারী লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়ে হেরে গেলেও তাঁদেরকে পুনরায় প্রার্থী করেছে। কিন্তু, বিশ্বজিতের ক্ষেত্রে শিকে ছেঁড়েনি। লোকসভা ভোটে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্র থেকে টিকিট পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, হারতে হয়েছে শান্তনু ঠাকুরের কাছে। এখন মধুপর্ণা টিকিট পাওয়ার পর বিশ্বজিৎ কিন্তু বলছেন মন খারাপের কারণ নেই। তিনি বলছেন, “মন খারাপের বিষয় নয়। দল যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যাঁকে প্রার্থী করেছে তাঁর জন্য আমরা লড়াই করব। বাগদা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস জিতবে।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মতুয়া সমাজ চেয়েছিল সরাসরি তাঁদের কেউ প্রার্থী হোক। তাতেই সিলমোহর দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। অন্যদিকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশও চাইছিলেন কোনও নতুন মুখ বাগদা আসনের জন্য বাছাই করতে। এমনকি, বিশ্বজিৎ দাস নিজেও দলকে বলেছিলেন, এবার আর প্রার্থী হতে চান না। তেমনটাই খবর বিশ্বজিৎ দাসে ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে।