Barrackpore: টাকা নিয়ে রফা? ‘ঘুষ’ নেওয়ার অভিযোগে সাসপেন্ড খড়দহ থানার দুই পুলিশ আধিকারিক
Barrackpore: দিন কয়েক আগেই রাজ্যের এসপি পদমর্যদার পুলিশকর্তা দেবাশিস ধরের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল।
খড়দহ: ফের পুলিশের (Police) বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ব্যারাকপুরে (Barrackpore)। কাঠগড়ায় ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অধীনস্থ খড়দহ থানার দুই পুলিশ অফিসার। ইতিমধ্যেই তাঁদের সাসপেন্ডও করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, সোদপুর বি টি রোডে চেকিংয়ের সময় দুধের গাড়ি আটকে কাগজপত্র দেখতে চায় খড়দহ থানার সাব-ইন্সপেক্টর সুজয় সরকার ও কনস্টেবল তাপস দাস। চালকের কাগজপত্রে বেশ কিছু অসঙ্গতি থাকা সত্ত্বেও ওই দুই পুলিশ আধিকারিক কেস না দিয়ে টাকা নিয়ে রফা করে বলে অভিযোগ।
এরপর ওই গাড়ির মালিকই খড়দহ থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক এবং ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটকে (Barrackpore Police Commissionerate) পুরো বিষয়টি জানাতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। গাড়ির মালিকের অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযুক্ত সাব-ইন্সপেক্টর সুজয় সরকার এবং কনস্টেবল তাপস দাসের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট৷ এরপরই ওই সাব-ইন্সপেক্টর এবং কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়। তবে ঘুষ কাণ্ডে পুলিশ কর্মীদের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় অস্বস্তি বেড়েছে পুলিশ কর্তাদের।
উল্লেখ্য, এই প্রথম নয় রাজ্যের একাধিক জেলা থেকে প্রায়শই পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। দিন কয়েক আগেই রাজ্যের এসপি পদমর্যদার পুলিশকর্তা দেবাশিস ধরের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। চলতি মাসেরই ১১ই সেপ্টেম্বর ব্যারাকপুর কমিশনারেটের অধীনস্থ ব্যারাকপুর থানায় ২০১০ সালের প্রিভেনশন অব কোরাপশন অ্যাক্টে আইপিএস দেবাশিস ধরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। সিআইডি সূত্রে খবর, ২০১৫-১৬ সালে একটি ঘটনা তদন্তকারীদের স্ক্যানারে ধরা পড়ে। জানা যায়, সেই সময় বেআইনিভাবে দেবাশিস ধর তাঁর পদকে কাজে লাগিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছিলেন বলে সিআইডি সূত্রে দাবি। এবার খড়দহ থানাতেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটায় বাড়ছে চাপানউতর।