কলকাতা : দেশবাসীর মঙ্গল কামনায় শনিবার দক্ষিণেশ্বরে ও আদ্যাপীঠে পুজো দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উমা ভারতী (Uma Bharati)। এ দিন সন্ধেয় দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে প্রবেশ করে মন্দির চত্বর ঘুরে দেখেন তিনি। এরপর মন্দিরের গর্ভগৃহে ঢুকে মা ভবতারিণীর পুজো দেন। পুজো দিয়ে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিজেপির অন্দরের বিক্ষোভ নিয়েও মুখ খোলেন তিনি।
মন্দির থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘জগতের কল্যাণ কামনায় মায়ের মন্দিরে পুজো দিলাম।’ বঙ্গ বিজেপির অন্দরে যে বিদ্রোহের আঁচ ক্রমে প্রকাশ্যে আসছে, সে ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে উত্তরে উমা ভারতী বলেন, ‘বিজেপির বড় বড় নেতারা আছেন, তাঁরা সামলে নেবেন। তবে তাঁর দাবি, গণতান্ত্রিক দেশে ভিন্ন বিচারধারার মানুষ আছেন। সকলের স্বাধীনতা আছে নিজস্ব মত প্রকাশ করার। এটা গণতন্ত্রের পক্ষে স্বাস্থ্যকর।
এ দিকে রাজ্য বিজেপি নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর যে বিস্ফোরক দাবি করেছেন, সেই প্রসঙ্গে উমা ভারতী বলেন, ‘একটাই ঠাকুর আছে বলে জানি। যার নাম রামকৃষ্ণ পরমহংস। নেতা বলতে স্বামী বিবেকানন্দকে জানি আর মা একজনই ভবতারিণী।’ কোথায় কী কমিটি হচ্ছে, তা নিয়ে বিজেপির নেতারা কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন উমা ভারতী।
উল্লেখ্য, শনিবারই ছিল বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতাদের বৈঠক। সেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে জয়প্রকাশ মজুমদারকে পাশে নিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। বিজেপির রাজ্য কমিটি নিয়ে যে বিতর্ক গত কয়েকদিন ধরে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে তৈরি হয়েছে, সেই রেশ ধরে তিনি জানান এত সহজে তিনি পিছু হঠবেন না।
তাঁর দাবি, কোনও এক নেতা সংগঠনকে দখলে রাখতে ৯০ শতাংশ কাজের লোককে বাদ দিয়ে কমিটি করেছেন। কোনওভাবেই শান্তনু ঠাকুররা তা মেনে নেবেন না। একইসঙ্গে শান্তনুর হুঁশিয়ারি, সময়মতো বোমা ফাটাবেন তিনি। কী বোমা? আপাতত জিইয়ে রাখলেন সে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন : Uttarakhand Assembly Election 2022: নজরে দেবভূমির লড়াই, নিজের কেন্দ্র খাতিমা থেকেই ভোটে লড়বেন ধামি
শান্তনু ঠাকুরের কথায়, “আমাদের একটাই উদ্দেশ্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপির হাতকে মজবুত করা। কিন্তু বর্তমানে বঙ্গ বিজেপির যে কমিটি তৈরি হয়েছে তা দেখে আমার মনে হয় না এই কমিটির বিজেপিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কোনও সৎ উদ্দেশ্য আছে। উপরের নেতাদের ভুল বার্তা দিয়ে কমিটি তৈরি হয়েছে। এতে আমরা বিজেপির জন্য অশনি সঙ্কেত দেখছি। আমরা এর মোকাবিলা করব। কোনও এক বিশেষ ব্যক্তি সংগঠনকে নিজের কুক্ষিগত করতে এভাবে বরিষ্ঠ, অভিজ্ঞ নেতাদের সরিয়ে কমিটি তৈরি করেছে।”