
বনগাঁ: মতুয়াদের পাশে দাঁড়াতে ঠাকুরবাড়ি যাবেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁকে পুজো দিতে হবে না বলে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তা নিয়েই রাজনৈতিক মহলে বাড়ছে চাপানউতোর। আগামী ৯ জানুয়ারি তাহেরপুুরে সভার পর ঠাকুরবাড়ি যাওয়ার কথা অভিষেকের। হরিচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরে পুজো দেওয়ার কথা রয়েছে অভিষেকের। এরইমধ্যে এবার খোলা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন শান্তনু। সাফ বললেন, “ভোটের রাজনীতি করতেই ঠাকুরনগরে আসছেন অভিষেক। কত পুলিশ নিয়ে আসতে পারে আমিও দেখব। হাজার হাজার মতুয়ার জমায়েত হবে সেদিন, ধিক্কার মিছিল বেরবে।” এ ভাষাতেই হুঙ্কার দিলেন শান্তনু।
তবে তৃণমূল বলছে ক্ষমতা থাকলে আটকে দেখাক। পাল্টা শান্তনুর দিকেও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে শাসকদল। জেলা তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলছেন, ঠাকুরবাড়িতে ওইদিন দুপুর ২টো নাগাদ যাবেন। যে কোনও তীর্থস্থানে সবার যাওয়ার অধিকার আছে।
যদিও শান্তনু বলছেন, “ঠাকুরবাড়িতে যে কেউ আসতে পারে। তাতে কারও কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঠাকুরবাড়িতে একটা ফোর্স দেখাতে আসে। এভাবে যদি ও আসে ওকে আমরা পুজো দিতে দেব না। ভোটের আগে ও কেন ঢুকতে চাইছে? ও ওইদিন কত পুলিশ নিয়ে আসতে পারে আমিও দেখব।” পাল্টা শান্তনুর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি বলছেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশ নিয়ে কেন যাবেন, মানুষ নিয়ে যাবেন। ঠাকুরবাড়ি কী শান্তনুর পৈতৃক সম্পত্তি নাকি? হরিচাঁদ ঠাকুর মানুষের মনের মিলের কথা বলেছেন, ভক্তির কথা বলেছেন। সংঘর্ষের কথা বলেলনি কখনও। শান্তনু ঠাকুর আসলে বংশের একটা কলঙ্কময় অধ্যায় তৈরি করেছেন।”