উত্তর ২৪ পরগনা: ঘটক বলেছিলেন মেয়ে বড় অসহায়। মা মারা গিয়েছে সেই কবে, বাবারও মাথার ঠিক নেই। কেউ যদি এই মেয়ের পাণিগ্রহণ করেন তা হলে জীবনটা রক্ষা পায়। সেই কথা শুনে বাগদার এক যুবক এগিয়ে আসেন। আসলে তাঁরও বাড়ি থেকে মেয়ে দেখা চলছিল। এর পর ওই মেয়ের সঙ্গেই বিয়ের কথা পাকা করে পরিবার। ২০ এপ্রিল সকালে কথা, ছেলের বিয়ে দিয়ে বাড়িতে নতুন বউ আনে পরিবার। ২৩ এপ্রিল লোকজন নিমন্ত্রণ করে বউভাতও হয়। তবে বিয়ের পর থেকেই নতুন বউয়ের আচরণে কেমন একটা খটকা লাগছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের। এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার হঠাৎ নতুন বউ বলেন চাকদহে যাবেন ডাক্তার দেখাতে। আর ডাক্তার দেখাতে বিয়েতে পাওয়া গয়না পরে যাবেন। বাকিগুলিও সঙ্গে নেন। এতেই সন্দেহ হয় পরিবারের। এরপরই নানা প্রশ্নে জেরবার বউ আসল কথা বলে ফেলে। সে কথায় কপালে হাত সদ্য বিবাহিত যুবকের এবং তাঁর পরিবারের।
অভিযোগ, এর আগেও বিয়ে করেছিলেন ওই তরুণী। প্রতিবারই বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি থেকে গয়না নিয়ে চম্পট দিয়েছেন বলে অভিযোগ। শুধু গয়না নয়, টাকা পয়সা হাতানোরও অভিযোগ উঠেছে তরুণীর বিরুদ্ধে। এবারও তেমনই পরিকল্পনা ছিল বলে অভিযোগ। তবে শেষ রক্ষা হল না। একেবারে হাতেনাতে ধরা পড়ে গেলেন। এরপরই ছেলের বাড়ি থেকে বাগদা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। শুক্রবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয় তাঁকে।
ওই যুবক জানান, “ঘটকের ঠিক করে দেওয়া মেয়ে। আমার জন্যও পাত্রী খুঁজছিল বাড়ির লোকেরা। গত ২০ তারিখ ঘটক ওই মেয়ের কথা বলে। আমাদের বাড়িতেই বিয়ে হয়। বৃহস্পতিবার ও সোনা গয়না নিয়ে পালানোর পরিকল্পনা করেছিল। আমরা মেয়ের বাড়িতে কে আছে জানতে চেয়েছিলাম। তখন বলে, বাবা আছে শুধু। মাথার সমস্যা রয়েছে তাঁর। আর সাত কূলে কেউ নেই।”
এরপরই বাগদার ওই যুবকের পরিবারের মন গলে। তাঁদের সংসারেও একটা বউয়ের অভাব ছিল। তাই বিয়েটা হয়। ওই যুবকের দাবি, “অন্য একজনের সঙ্গে ওর প্রেম আছে। মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপে কথা হয়। আমি ধরতে পারি। এ নিয়ে কথা কাটাকাটিও হয়। আগেও ওর চারটে বিয়ে আছে। এখন তো মনে হচ্ছে বিয়ে করেই প্রতারণা করছে। পুলিশকে জানিয়েছি। গ্রেফতারও করেছে।”
আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: লালবাতি গাড়িতে কেন চড়েন অনুব্রত? হাইকোর্টে মামলা ঠোকায় ফাঁপড়ে ‘কেষ্ট’