
উত্তর ২৪ পরগনা: এবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটিতে। অভিযোগ, এক নাবালিকাকে পাশের পাড়ার এক যুবক ধর্ষণ করে। এলাকায় একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে এই ঘটনা ঘটায়। কিন্তু মেয়েটির ভাই সেই দৃশ্য দেখে ফেলে। এরপরই বাড়িতে গিয়ে মাকে সবটা জানায়। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন মা। কোনওভাবে উদ্ধার করেন মেয়েকে। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। অভিযুক্তকে ধরে ফেলেন এলাকার লোকজন। তাঁরাই পুলিশের হাতে তুলে দেন। এই ঘটনায় অপরাধীর কড়া শাস্তির দাবি তোলা হয়েছে। গত কয়েকদিনে এ রাজ্যে নাবালিকা ধর্ষণ কিংবা শ্লীলতাহানির অভিযোগের তালিকা দীর্ঘ। কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটছে, কেনই বা মানুষের মধ্যে এমন অপরাধপ্রবণতা বাড়ছে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
নির্যাতিতার দিদির কথায়, রবিবার তার বোন এলাকার মাঠে গিয়েছিল। ওই মাঠের পাশেই বাঁশ বাগান রয়েছে। সেখানে নিয়মিত মদ, জুয়া, তাসের আসর বসে। এলাকায় সমাজবিরোধীদের ভিড় বাড়ছে বলেও অভিযোগ তার। এদিন যখন তার মা যায়, গিয়ে দেখে ১২ বছরের মেয়ের পোশাক অবিন্যস্ত। এলোমেলো অবস্থা। অভিযোগ, সেখানে আরও লোকজন ছিল। কেউ কোনও কথা বলেনি। বরং মা গিয়ে চেঁচামেচি করায় কেউ কেউ মুখ টিপে হেসেছে।
নির্যাতিতার দিদি জানায়, “আমার বোনের সঙ্গে এরকম হল, অথচ ওখানে আরও লোকজন ছিল। তারা কেউ কিছুই বলেনি। অন্য পাড়া থেকে ছেলে এসে এমন কাণ্ড করল। এখানে মদ, গাঁজার আড্ডা চলে। তাস, জুয়া সব চলে। কেউ কিছু বলে না। নেতারা ভোটের সময় ভোট চাইতে আসে। আর ভোট মিটে গেলে তাদের দেখা যায় না। আমার ভাই দেখতে পায়। ও এসে মাকে বলে সবটা। এরপরই মা ছুটে গিয়ে দেখে এই অবস্থা। আমরা চাই ওর ফাঁসি হোক।” যদিও অভিযুক্তের দাবি, সে কিছুই করেনি। ইতিমধ্যেই নৈহাটি থানার পুলিশের হাতে অভিযুক্তকে তুলে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে নাবালিকাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।