Basirhat Case: বাড়ি থাকেন না বর, সেই সুযোগেই…! স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে যুবক বললেন, ‘আমি বিচার চাই’

Basirhat: হেমনগর কোস্টাল থানা এলাকার কালীতলা গ্রামপঞ্চায়েতের হরিদাসকাটি গ্রাম। সেই গ্রামেই রঞ্জিত চক্রবর্তীর বাড়ি।

Basirhat Case: বাড়ি থাকেন না বর, সেই সুযোগেই...! স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে যুবক বললেন, 'আমি বিচার চাই'
নিহত শিশুর বাবা। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 18, 2022 | 4:10 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: স্বামী কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে থাকেন। একা শ্বশুরবাড়িতে মন টিকত না বউয়ের। তাই স্ত্রী ছেলেকে নিয়ে বসিরহাটে বাপের বাড়িতে থাকছিলেন। অভিযোগ, সেখানেই অন্য এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান তিনি। এ নিয়ে সংসারে অশান্তিও চলছিল। এরইমধ্যে ওই দম্পতির পাঁচ বছরের সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। শিশুর বাবার অভিযোগ, এটা খুন। অন্যদিকে শিশুর মামারবাড়ির লোকজনের দাবি, জলে ডুবে মারা গিয়েছে সে। এই নিয়ে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। অভিযোগ, ওই যুবতীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের বিষয়টি স্বামী জেনে ফেলাই কাল হয়। রাগ গিয়ে পড়ে ছেলের উপর। এমনও অভিযোগ উঠেছে, ওই ছেলেকে গলা টিপে মারা হয়েছে। বসিরহাট মহকুমার হেমনগর কোস্টাল থানা এলাকার এই ঘটনা ঘিরে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। এই ঘটনায় ওই শিশুর বাবা রঞ্জিত চক্রবর্তী তাঁর স্ত্রী, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন বলেও জানান। যদিও হেমনগর কোস্টাল থানার পক্ষ থেকে অভিযোগের সত্যতা সম্পূর্ণভাবেই অস্বীকার করা হয়েছে। ফলে ঘটনা ঘিরে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

হেমনগর কোস্টাল থানা এলাকার কালীতলা গ্রামপঞ্চায়েতের হরিদাসকাটি গ্রাম। সেই গ্রামেই রঞ্জিত চক্রবর্তীর বাড়ি। জলের পাইপের কাজ করেন তিনি। সেই কাজের জন্যই ওড়িশায় থাকেন। অভিযোগ, রঞ্জিত বাড়িতে না থাকায় তাঁর স্ত্রী টুম্পা সন্তানকে নিয়ে পাশের গ্রাম গোবিন্দকাটিতে থাকেন। সেখানে তাঁর একাধিক পুরুষের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলেও অভিযোগ। রঞ্জিত তা জেনে ফেলায় সন্তানকে তার খেসারত দিতে হল বলেই মনে করছে তাঁর পরিবার।

নিহত শিশুর বাবা রঞ্জিত চক্রবর্তীর অভিযোগ, চলতি মাসের ১৫ তারিখে তাঁদের একমাত্র সন্তান দীপ চক্রবর্তী মারা যায়। শ্বশুরবাড়ির লোকজন জলে ডুবে মৃত্যুর কথা বললেও রঞ্জিত সে কথা মানতে নারাজ। তিনি জানান, পরিকল্পনা করে তাঁর ছেলেকে খুন করা হয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে তাঁর স্ত্রী টুম্পা একাধিক পুরুষের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রাখছিলেন। সেই কথা রঞ্জিত জেনে ফেলায় দীর্ঘদিন ধরে গোলমাল, অশান্তি লেগেই থাকত। সেই রাগ থেকেই স্ত্রীর মধ্যে প্রতিশোধস্পৃহা তৈরি হয় বলে অনুমান রঞ্জিতের।

নিহত শিশুর বাবা রঞ্জিত চক্রবর্তী বলেন, “আমার ছেলে ১৫ তারিখ মারা যায়। সকলে বলছে জলে ডুবে মারা গিয়েছে। আমার এ কথা বিশ্বাস হচ্ছে না। জলে ডুবে মারা যায়নি। ওকে মেরে ফেলেছে। আমার একটাই দাবি, ও যেন বিচার পায়। ওইটুকু ছেলেটার ঘাট কাজ পর্যন্ত করছি! এর থেকে যন্ত্রণার আর কী থাকতে পারে।”

রঞ্জিতের বাবা বলেন, “আমার বউমা খুবই খারাপ। অনেক কিছুই করে। ওরা বলছে বাচ্চাটা জলে ডুবে মারা গিয়েছে। কিন্তু আমরা সেটা মোটেই মানছি না। অন্য কিছু লুকিয়ে আছে এর পিছনে। আমরা এর সুবিচার চাই।” অন্যদিকে রঞ্জিতের মা বলেন, “নাতির মৃত্যুসংবাদ শুনে গিয়ে দেখি বাচ্চাটার মুখ হা করা। জিভ এক পাশে চলে এসেছে। গলা টিপে মেরেছে বোধহয়।” যদিও অভিযুক্ত মা বা তাঁর বাপের বাড়ির কেউ এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।

আরও পড়ুন: Swasthasathi Card: স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ‘না’! স্বাস্থ্যভবনে চিঠি দিল ২০টি বেসরকারি হাসপাতাল