বনগাঁ: বিজেপি নেতারা বারবার দাবি করেছেন তাঁদের দলের কর্মীদের বঞ্চিত করা হয় রাজ্যে। আর এবার সেই কথাই শোনা গেল খোদ তৃণমূল নেতার মুখে। তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি গোপাল শেঠ দাবি করলেন, তৃণমূল করলে যে সুবিধা পাওয়া যায়, বিজেপি করলে সেই সুবিধা পাওয়া যাবে না। শনিবারই বনগাঁর গাইঘাটায় তিন পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আর তারপরই এই মন্তব্য করেছেন তৃণমূল নেতা। আর তৃণমূল নেতার এই বক্তব্যের পাল্টা কটাক্ষ করেছে বিজেপিও। গেরুয়া শিবিরের নেতারা বলছেন, তৃণমূল নেতা ঠিকই বলেছেন। যাঁরা বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন, তাঁরাই বঞ্চিত এ রাজ্যে। ভয় দেখিয়ে দলে নেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি বিজেপির।
শুক্রবারের পর শনিবার ফের বনগাঁয় বিজেপিতে ভাঙন। উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা ধর্মপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন বিজেপি সদস্য যোগ এ দিন দিয়েছেন তৃণমূলে। শুক্রবার পঞ্চায়েত প্রধান নীলাদ্রী ঢালি সহ তিন বিজেপি সদস্য যোগ দেন তৃণমূলে। তার ফলে ধরমপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল চলে আসে তৃণমূলের হাতে। এবার আরও তিন বিজেপি সদস্য শনিবার তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় আরও শক্তিশালী হল ঘাসফুল। ১৬ সদস্যের পঞ্চায়েতে ১৩ জন সদস্যই এখন তৃণমূলের, ফলে চাপ বাড়ছে বিজেপির।
গোপাল শেঠ এ দিন বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি এবং তৃণমূলের পতাকা, এ দুটোই হচ্ছে আমাদের হাতিয়ার। তাইতো আজকে বিজেপি ছেড়ে ওরা আমাদের দিকে চলে এসেছে। ভাল করে কাজ করতে এসেছে।’ তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আগের মতো ওরা বিজেপি করে বলে বিরক্ত করে যাবেন, সেটা হবে না।’ তাঁর কথায়, ‘যে লোকটা তৃণমূল করবে তাঁকেই সুবিধাটা দেব, যে বিজেপি করবে সে সুবিধাটা পাবেন না।’
এই বিষয়ে বিজেপির বনগাঁ জেলা বিজেপি সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল বলেন, ‘২ কোটি ২৮ লক্ষ মানুষ বিধানসভায় বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। তাঁরা সবাই বঞ্চিত। যাঁরা আজ তৃণমূল করছে তাঁরাও বঞ্চিত। যে তৃণমূলের হাতে অস্ত্র আছে, যে তৃণমূলের সঙ্গে বাহুবলী আছে, তারাই শুধু সুবিধা পাচ্ছে।’ তৃণমূল নেতার কথা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা বলেন, ‘উনি ঠিকই বলেছেন। যেটা রাজ্যে করছেন, সেটাই হয়ত মুখ গিয়ে বেফাঁস বেরিয়ে গিয়েছে।’