AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Fake documents: জাল নথি বানিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে ঢুকতে সাহায্য! শ্রীঘরে গুণধর

Barasat: অভিযুক্তের প্রথম পক্ষের স্ত্রী পুলিশকে গিয়ে জানায় সমস্ত কিছু।

Fake documents: জাল নথি বানিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে ঢুকতে সাহায্য! শ্রীঘরে গুণধর
ভুয়ো নথি বানিয়ে গ্রেফতার যুবক (নিজস্ব ছবি)
| Edited By: | Updated on: Dec 31, 2021 | 2:58 PM
Share

বারাসত: ভুয়ো নথিপত্র তৈরির করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল ব্যক্তিকে। বারাসাত থানার বনমালীপুর এলাকার ঘটনা।

তিন মাস আগেই সমরেশ বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জাল নথি তৈরি করার ঘটনায় সেই সময় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। বারসত থেকে গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত। এবার সেই তদন্তে নেমে উঠে এসেছিল সাগর দেব নামে অপর আরও এক অভিযুক্তের নাম ।

দীর্ঘদিন ধরে বারাসাত থানার পুলিশ খুঁজছিল সাগরকে। অবশেষে সাগরের প্রথম বৌ এর সহযোগিতায় আজ সকালে বারাসাত থানার পুলিশ গ্রেফতার করে তাকে। অভিযুক্ত সাগর দেবের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক ভুয়ো নথিপত্র। পাশাপাশি উদ্ধার করা হয়েছে বারাসতের সরকারি একটি উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাধিক স্কুল সার্টিফিকেট । এছাড়া উদ্ধার হয়েছে বারাসাত পৌরসভার জন্ম সার্টিফিকেটের জাল নথিপত্র ।

অভিযুক্তের প্রথম পক্ষের স্ত্রীর অভিযোগ, এই সাগর দেব ও এএনআই এর হাতে গ্রেফতার হওয়া সমরেশ বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাংলাদেশ থেকে এদেশে পাড়ি দিত একাধিক অনুপ্রবেশকারী। তাদের ভারতে প্রবেশ করার কাজে সাহায্য করতে এরা। সেই সকল অনুপ্রবেশকারীদের ভারতীয় সমস্ত নথিপত্র করে দিতেন সমরেশ ও সাগর। এদের সঙ্গে আর কেউ যুক্ত আছে নাকি সে বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে বারাসাত থানার পুলিশ । পুলিশ সুপার জানিয়েছেন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অনেকদিন আগেই তাদের কাছে খবর ছিল সেই খবরের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে তদন্ত শুরু হয়েছে ।

প্রসঙ্গত, চলতি মাসে  জেলা থেকে আরও এক ঘটনা সমানে আসে। সরকারি আধিকারিকের সই জাল। তারপর ভুয়ো মেইল বানিয়ে সাংসদ, বিধায়কদের ফান্ডের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছিল ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বসিরহাট মহকুমার বাদুড়িয়া থানার বাদুড়িয়া এলাকার ঘটনা। অভিযুক্তের নাম আরিজুল শেখ। অভিযোগ, আরিজুল উত্তর ২৪ পরগনার ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের প্ল্যানিং অফিসারের সই জাল ও ওই আধিকারিকের নামে একটি ভুয়া মেইল অ্যাকাউন্ট তৈরি করেন। তারপরে সেই মেইল থেকে বসিরহাট লোকসভার বসিরহাট উত্তর বিধানসভার চৈতা ও বাদুড়িয়া বিধানসভার চাতরা গ্রাম পঞ্চায়েতের মেল আইডিতে একটি মেইল পাঠায়।

কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে জানা যায় জেলা প্ল্যানিং অফিসারের ই-মেইলটি সম্পূর্ণ ভুয়ো। পাশাপাশি যে সমস্ত চিঠিগুলি উপরোক্ত পঞ্চায়েতে গিয়েছিল সেই চিঠিগুলিও জাল করা হয়েছে। এরপরই সরকারি আধিকারিকরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানায়। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি জানতে পেরে তাঁর নিজস্ব দফতরকে জানায়। এরপরই গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত।

আরও পড়ুন: Omicron In Bengal: কলকাতায় গোষ্ঠী সংক্রমণের ইঙ্গিত, ওমিক্রনে কড়াকড়ি রাজ্যের