গাছ ঝুলছে বৃদ্ধ দম্পতির দেহ, প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে শিউরে উঠলেন এলাকাবাসী!
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে ওই মৃত দম্পতির বাড়ি ১০০ মিটার দূরে। ওই দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। কিন্তু ছেলেমেয়ের সঙ্গে বনিবনা ছিল না। বাড়িতে শুধু থাকতেন ওই দম্পতি। স্থানীয়দের অনুমান, ছেলেমেয়ের সঙ্গে বিবাদের জেরেই আত্মহত্যা করেছেন এই দম্পতি।
শিলিগুড়ি: সাতসকালে হাঁটতে বেরিয়ে এমন দৃশ্য দেখতে হবে ভাবতে পারেননি স্বপ্না কর্মকার। আচমকা দেখলেন গাছ ঝুলছে বৃদ্ধ দম্পতির দেহ (Hanging Body)! সঙ্গে সঙ্গে তিনি খবর দেন স্থানীয়দের। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশ। চাঞ্চল্য শিলিগুড়িতে।
প্রত্যক্ষদর্শী স্বপ্না জানান, রোজকার মতোই শুক্রবার ভোর ছ’টা নাগাদ হাঁটতে গিয়ে আচমকা দেখেন একই গাছ থেকে ঝুলছে বৃ্দ্ধ স্বামী-স্ত্রীর দেহ। হঠাৎ দেখলে মনে হতে পারে কেউ বা কারা যেন দড়িতে বেঁধে ঝুলিয়ে দিয়েছে দেহ দুটি। দুজনের গলাই একসঙ্গে দড়ি দিয়ে পেঁচানো। দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই তিনি খবর দেন স্থানীয়দের। জানা গিয়েছে, মৃত দম্পতির (old couple) নাম নগেন বর্মণ ও সুশীলা বর্মণ। দুজনেরই বয়স ষাটের উপরে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে ওই মৃত দম্পতির বাড়ি ১০০ মিটার দূরে। ওই দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। কিন্তু ছেলেমেয়ের সঙ্গে বনিবনা ছিল না। বাড়িতে শুধু থাকতেন ওই দম্পতি (old Couple)। স্থানীয়দের অনুমান, ছেলেমেয়ের সঙ্গে বিবাদের জেরেই আত্মহত্যা করেছেন এই দম্পতি।
ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান আত্মহত্যাই (suicide) করেছেন ওই দম্পতি। তবে, পারিবারিক বিবাদের জেরে খুনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারী অফিসাররা। স্থানীয়দের বয়ানের ভিত্তিতে ওই দম্পতির ছেলেমেয়ের খোঁজ করা হচ্ছে। স্বামী-স্ত্রীর মৃত্য়ুর পেছনে অন্য কোনও অভিসন্ধি আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: বিজেপি প্রার্থীর উস্কানিমূলক মন্তব্যের জের, ছেঁড়া হল দলীয় পতাকা, অভিযোগ ঘাসফুলের