Ground Zero from Bhangar: রাতভর ভাঙড়ে যা ঘটল, সিবিআই তদন্তের দাবি নওশাদের
Bhangar Situation: রাতজুড়ে শুধু বোমাগুলির শব্দ। বোমার আঘাতে জখম অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। জখম তাঁর দেহরক্ষীও। কাঁঠালিয়া স্কুলের পাশে একাধিক জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে বোমা। থমথমে এলাকা।
মঙ্গলবার রাত থেকে উত্তপ্ত ভাঙড়। ভোট গণনার চলাকালীনই অগ্নিগর্ভ হয় পরিস্থিতি। কাঁঠালিয়ায় গণনা কেন্দ্রের বাইরে পড়তে থাকে পরপর বোমা। রাতজুড়ে শুধু বোমাগুলির শব্দ। বোমার আঘাতে জখম অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। জখম তাঁর দেহরক্ষীও। কাঁঠালিয়া স্কুলের পাশে একাধিক জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে বোমা। থমথমে এলাকা। সকাল থেকেও অশান্তির আবহ অব্যাহত। এক নজরে আপডেট…
সর্বশেষ তথ্য উপরে
- মঙ্গলবার রাতের ঘটনা নিয়ে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, “রাতে গণনাকেন্দ্র যখন দখল হল পুলিশ, পুলিশসুপার, বিডিওর ভূমিকা কী ছিল? অনেক প্রশ্ন আছে। আমরা এই ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ সত্য জানতে চাই। আমরা এর সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। আমরা এ নিয়ে আইনি পরামর্শও নিচ্ছি। কোর্টে যাব, রাজ্যপালের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।”
- ভাঙড়ের রাস্তায় পড়ে তাজা বোমা। সেগুলিকে নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা করছে বম্ব স্কোয়াড। উল্লেখ্য, হিংসায় বিধ্বস্ত কাঁঠালিয়ায় একটি ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় একাধিক বোমা। ব্যাগ থেকে সেগুলি বার করে নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা করছেন বম্ব স্কোয়াডের কর্মীরা।
- ভাঙড়ের ভোটে হিংসার বলি আরও একজন। মৃতের নাম রাজু মোল্লা (২৭)। মঙ্গলবার রাতে ঘটকপুকুরে দিদির বাড়ি যাচ্ছিলেন। সেই সময় কাঁঠালিয়া হাইস্কুলে গণনা কেন্দ্রে বোমা-গুলির লড়াইয়ের মধ্যে পড়ে পিঠে গুলি লাগে রাজুর। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে রাজুকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
- আরও এক আইএসএফ কর্মীর মৃত্যু খবর মিলেছে। মৃতের নাম রেজাবুল গাজি। বয়স ২৪।
- ভাঙড়ে মৃত্যু আরও এক আইএসএফ কর্মী। তাঁর নাম হাসান আলি মোল্লা। বয়স ২৬। আরজিকরে ভর্তি ছিলেন। সকালবেলা মৃত্যুর খবর আসে।
- মৃত হাসান মোল্লার শ্বশুর বলেন, “আইএসএফ জিতেছিল বলে ওরা আনন্দ করছিল। সেই সময় রাত্রিবেলা খবর আসে হাসানের গুলি লেগেছে। তৃণমূলের লোকজন ওকে গুলি করে।” মৃতের গর্ভবতী স্ত্রী বলেন, “আরাবুল-শওকতের লোকজন র্যাফের পোশাক পরে এসে ওকে গুলি করেছে। তিনজন এসেছিল। আরাবুলের ছেলেও এসেছিল। আমি ওদের শাস্তি চাই। আমার তিনটে বাচ্চাকে অনাথ করে দিল।” হাসানের ভাই বলেন, “একটা সইয়ের জন্য গিয়েছিলাম। আরাবুল-শওকতের নেতৃত্বে দলবল র্যাফের পোশাক পরে গুলি করেছে।”
- ভাঙড়ে হিংসার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার ১। জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা।শওকত মোল্লা ও আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, “আর নেওয়া যাচ্ছে না। আমরা শান্তি চাইছি। কিন্তু এ কী শান্তি? রাত ১২টার পরে পুলিশ চলে যেতেই আরাবুল আর শওকতের দলবল এই সব করেছে। বোমা গুলি মুড়িমুড়কির মতো পড়ছে।”
- একঘণ্টা পরও কাঁঠালিয়া হাইস্কুলের সামনের রাস্তায় পড়ে রয়েছে কাচ। যার থেকে স্পষ্ট গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে পুলিশের। পড়ে রয়েছে তাজা বোমার সুতলি। কয়েকটি জায়গায় এখনও রয়েছে রক্তের ছাপ।
- ভাঙড়ের রাস্তায় এখনও পড়ে তাজা বোমা। পড়ে রয়েছে রক্ত। এলাকা থমথমে। মোতায়েন প্রচুর পুলিশ। পড়ে রয়েছে ভাঙচুর অবস্থায় থাকা পুলিশের গাড়ি।