Accident in ECL: ২২০০ ফুট নীচে আছড়ে পড়লেন, ECL-এর খনিতে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত ২
Accident in ECL: ঠিকা শ্রমিকদেরই ওই বিপজ্জনক খনির চাকার উপর পাঠানো হয়েছিল। যদিও সকলেরই সেফটি বেল্ট ছিল। কিন্তু খনির যন্ত্রাংশ এতটাই জং ধরেছিল যে তা দুর্বল হয়ে গিয়েছিল। তা ভেঙে যেতেই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা গোটা ঘটনায় নিরাপত্তার অভাবের অভিযোগ তুলেছেন।
আসানসোল: চাকা মেরামত করতে গিয়ে ইসিএলের খনিতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। খনিগর্ভের ভিতরে দু’হাজার ফুট নীচে পড়ে মৃত্যু হল দুই শ্রমিকের। ইসিএল-এর সোদপুর এলাকার চিনাকুড়ি এক/দুই নম্বর খনির ঘটনা। ইসিএল-এর এই খনিটি রয়েছে কুলটি বিধানসভা এলাকায়। জানা গিয়েছে, খনিতে নামার যে ডুলি থাকে, তারই যন্ত্রাংশ মেরামতির কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। সেই সময় আচমকা যন্ত্রাংশ ভেঙে পড়ে।
এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক শ্রমিকের। মৃতের নাম অশোক বাউরি। অন্য আর একজন শ্রমিক প্রায় ২২০০ ফুট নীচে খনিগর্ভে আছড়ে পড়েন। তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয় ঘণ্টা দুয়েক পর। মৃতের নাম অনিল যাদব।
এই ঘটনায় আরও তিনজন শ্রমিক আহত হয়েছেন। তাঁদের ইসিএল-এর সাকতোরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মৃতদেহ উদ্ধারের পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় মানুষজন। জানা গিয়েছে, যাঁরা দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন, তাঁরা ইসিএল-এর স্থায়ী শ্রমিক নন, তাঁরা ঠিকা শ্রমিক।
জানা গিয়েছে, ঠিকা শ্রমিকদেরই ওই বিপজ্জনক খনির চাকার উপর পাঠানো হয়েছিল। যদিও সকলেরই সেফটি বেল্ট ছিল। কিন্তু খনির যন্ত্রাংশ এতটাই জং ধরেছিল যে তা দুর্বল হয়ে গিয়েছিল। তা ভেঙে যেতেই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা গোটা ঘটনায় নিরাপত্তার অভাবের অভিযোগ তুলেছেন। পাশাপাশি ক্ষতিপূরণের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।
মৃতদেহ দুটি সাকতোরিয়া হাসপাতালে পাঠানোর পর আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয় ময়নাতদন্তের জন্য। তবে ঘটনার পর খনি চত্বরে ছড়িয়ে পড়ে চরম উত্তেজনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কুলটির বিজেপি বিধায়ক অজয় পোদ্দার। তিনি এই ঘটনার জন্য ইসিএল-কেই দায়ী করেছেন। তিনি দাবি করেন শ্রমিকদের সেফটি বেল্ট ছিল না।