AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Shootout in Asansol: চলছিল অনলাইন কোচিং ক্লাস, আচমকা গুলির শব্দে কেঁপে উঠল এলাকা!

Paschim Bardhaman: গুলির আওয়াজ পেয়ে ছুটে আসেন এলাকাবাসী। তাঁরাই গুলিবিদ্ধ সোনুকে উদ্ধার করে প্রথমে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তাঁর অবস্থার ক্রমশ অবনতি হলে সোনুকে নিয়ে যাওয়া হয় দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে

Shootout in Asansol: চলছিল অনলাইন কোচিং ক্লাস, আচমকা গুলির শব্দে কেঁপে উঠল এলাকা!
আসানসোল শুটআউটে আক্রান্ত, নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Dec 08, 2021 | 4:57 PM
Share

পশ্চিম বর্ধমান: চলছিল অনলাইন কোচিং ক্লাস। তারমধ্যেই দিনেদুপুরে চলল গুলি! শুটআউটের (Shootout) জেরে গুরুতর জখম হলেন এক ভিনরাজ্যের যুবক। জানা গিয়েছে ওই যুবকই অনলাইন ক্লাস করাচ্ছিলেন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল দক্ষিণ থানার মুর্গাশোল এলাকায়। গুলির ঘটনায় সন্দেহভাজন স্থানীয় এক যুবককেই আটক করেছে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গুলিবিদ্ধ ওই যুবক দেওঘরের বাসিন্দা। তিনি তাঁর আরও চার সঙ্গী বাড়ি ভাড়া নিয়ে ওই এলাকায় থাকতেন। মূলত, উঁচু ক্লাসের কোচিং ক্লাস বা অনলাইন ক্লাস করাতেন সোনু সিং নামের ওই যুবক। মূলত উঁচু ক্লাসের পড়ুয়াদের অনলাইনে পড়াতেন সোনু। বুধবারও একইভাবে ক্লাস করাচ্ছিলেন।  সেইসময় জিতু সওয়ার নামে স্থানীয় এক যুবক আচমকা এসে বিবাদ শুরু করে। দু’জনের মধ্যে বচসা শুরু হয়। এরপর আচমকাই সোনুকে গুলি করেন জিতু। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন সোনু।

এদিকে গুলির আওয়াজ পেয়ে ছুটে আসেন এলাকাবাসী। তাঁরাই গুলিবিদ্ধ সোনুকে উদ্ধার করে প্রথমে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তাঁর অবস্থার ক্রমশ অবনতি হলে সোনুকে নিয়ে যাওয়া হয় দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই আপাতত চিকিত্‍সাধীন তিনি। তবে চিকিত্‍সকেরা জানিয়েছেন, এখনও কথা বলার মতো পরিস্থিতিতে নেই সোনু।

আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবক ভিনরাজ্য থেকে এ রাজ্যে এসেছেন। কেন এসেছেন তা স্পষ্ট নয়। যদিও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অনলাইনে ক্লাস করাতে এখানেই থাকতেন ওই যুবক। আগে বেশ কিছুদিন বিহারে ছিলেন। তাঁর সঠিক পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। যদিও, সোনুর সঙ্গীরা জানিয়েছেন, তাঁদের একটি বড় কোচিং সেন্টার রয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যেই তাঁরা অনলাইন ক্লাস করান। সেই নিয়ম মেনেই বিহার থেকে আসানসোলে পাঠানো হয়েছিল ওই যুবককে।

যদিও, কেন সোনুর জিতুর সঙ্গে বিরোধ বাধল কী  নিয়েই বা বচসা, তা স্পষ্ট নয়। তাছাড়া জিতুই বা কী করে পিস্তল পেলেন, তিনি কোনও বেআইনি অস্ত্র পাচারের সঙ্গে যুক্ত কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই, খনি এলাকায় গুলিবর্ষণের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। গোলাগুলির ঘটনায় মৃত্যু হয় এক ইসিএস কর্মীর। রানিগঞ্জের চাপুই খাস কোলিয়ারিতে কাজ করতেন তিনি। বাড়ি ফেরার পথে আচমকা তাঁকে গুলি করে খুন করেন দুষ্কৃতীরা। খুনের ঘটনার পর থেকেই নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এলাকাবাসীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ডেপুটি পুলিশ কমিশনার সেন্ট্রাল অভিষেক মোদী। তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

আরও পড়ুন: Prabir Ghosal’s article in Jago Bangla: মমতার সঙ্গে ‘তুলনীয়া কেবল ইন্দিরা’ ‘জাগোবাংলা’য় আগুনে-কলম প্রবীরের