কলকাতা : বাংলায় আবারও এক নির্বাচন। ইতিমধ্যেই আসানসোল ও বালিগঞ্জের প্রার্থী ঘোষণা করেছে সব শিবির। একদিকে শত্রুঘ্ন সিনহার বিরুদ্ধে লড়বেন বিজেপির অগ্নিমিত্রা পাল। আর অন্যদিকে তৃণমূলের বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী কেয়া ঘোষ। বাবুল ও শত্রুঘ্ন সিনহা দুজনেই একসময় বিজেপির সঙ্গে ছিলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও ছিলেন দুজনেই। পরে তাঁরা শিবির বদল করেন। আর সেই দলবদলের প্রবণতাকেই হাতিয়ার করেছেন বিজেপির দুই প্রার্থী। তাঁদের দাবি যাঁরা বারবার দলবদল করেন, তাঁদের ওপর আর ভরসা করবে না সাধারণ মানুষ। তাই বাবুল ও শত্রুঘ্ন সিনহাকে হারানো সহজ হবেই বলে মনে করছেন কেয়া ও অগ্নিমিত্রা।
গত বছর ১৮ মার্চ বিধানসভার প্রার্থী হিসেবে অগ্নিমিত্রার নাম ঘোষণা করেছিল বিজেপি। পরে জয়ী হয়ে বিধায়কও হন তিনি। আর এক বছর পর সেই একই দিনেই লোকসভা আসনে প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করল বিজেপি। মাত্র এক বছর হল আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক হয়েছেন অগ্নিমিত্রা। শুক্রবার দোল উৎসবে যখন তিনি ব্যস্ত ছিলেন, তখন খবরটা আসে।
তাঁর কাছে খবরটা অপ্রত্যাশিত ছিল বলে জানিয়েছেন অগ্নিমিত্রা। এই খবর পাওয়ার পরই তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহাকে বহিরাগত বলে কটাক্ষ করেন তিনি। অগ্নিমিত্রার দাবি, আসানসোলের সংস্কৃতি বোঝেন না শত্রুঘ্ন। ভৌগোলিক অবস্থানও বোঝেন না। এই শহরের সঙ্গে কোনও সংযোগ নেই। এখানে বিপুল শত্রুঘ্ন পরাজিত হবেন বলে দাবি বিজেপি বিধায়কের। তিনি বলেন, বিহারীবাবুর খামোশ ডায়লগ সিনেমার জন্য ভাল। কিন্তু আসানসোলের মানুষ খামোশ থাকবেন না। পুরভোটে মানুষ ভোট দিতে পারেননি তার জবাব লোকসভায় দেবেন। অগ্নিমিত্রা তাঁর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘শত্রুঘ্ন সিনহার কি যোগ্যতা আছে? উনি আজ এই দলে, কাল অন্য দলে। ভবিষ্যতেও যে দলবদল করবেন না, সেটাও বলা যায় না।’
অন্যদিকে, বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনের প্রার্থী কেয়া ঘোষের দাবি, বাবুল সুপ্রিয়কে প্রতিপক্ষ হিসেবে প্রাধান্য দিচ্ছেন না তিনি। ওই কেন্দ্রে প্রয়াত বিধায়ক সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কথা উল্লেখ করে, কেয়া বলেন, ‘সুব্রতবাবু ছিলেন রাজনীতির একজন প্রাজ্ঞ ব্যক্তিত্ব।’ আর বাবুল সুপ্রিয় সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য, ‘জামা পাল্টানোর মতো দল বদলান তিনি।’ তাই বাবুলকে কোনও গুরুত্বই দিতে চাইছেন না কেয়া।
আরও পড়ুন : Jhalda Councillor Murder: মিঠুনকে কী বলতেন ঝালদার আইসি? ফোন এবার পুলিশের হাতে