Jhalda Councillor Murder: মিঠুনকে কী বলতেন ঝালদার আইসি? ফোন এবার পুলিশের হাতে
Jhalda Councillor Murder: আই সি-র সঙ্গে আরও কয়েক জন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে তপন কান্দুর স্ত্রী-র। পুলিশ কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
ঝালদা : নিহত কাউন্সিলরের ভাইপোর মোবাইল বাজেয়াপ্ত করল ঝালদা থানার পুলিশ। এই মোবাইল থেকেই তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দুর সঙ্গে ঝালদা থানার আইসি-র কথোপকপন হয়েছিল বলে অভিযোগ। তপন কান্দুর পরিবারের অভিযোগ, তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁকে চাপ দিচ্ছিলেন ঝালদা থানার আইসি। ফোন করে আইসি সে কথা বলতেন বলে দাবি করেন মিঠুন কান্দু। সেই তথ্য যাচাই করতে এবার মিঠুন কান্দুর মোবাইল বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ।
আইসি সঞ্জীব ঘোষ তাঁর কাকাকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। এমনটাই দাবি মিঠুনের। আর শুক্রবার সেই মিঠুনের ফোন বাজেয়াপ্ত করা হল।
ভাইপো মিঠুন কান্দু জানিয়েছেন তাঁকে একাধিকবার ফোন করেছিলেন ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষ। তৃণমূলে আসতে কাকা রাজি কি না, তা জানতে চাইতেন তাঁর কাছে। এমনকি চেয়ারম্যান পদ নিয়ে দরাদরি হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন মিঠুন।চেয়ারম্যান পদ দিতে রাজি ছিলেন না আইসি। তিনি জানিয়েছিলেন তৃণমূলের প্রতীকে যাঁরা জিতেছেন, তাঁরাই পাবেন ওই পদ। মিঠুনকে বলেছিলেন, তাঁর কাকা তৃণমূলে যোগ দলে অন্য কোনও পদ দেওয়া হবে।
শুধু মিঠুনই নয়, নিহত তপন কান্দুর স্ত্রী তথা ঝালদা ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দুও এই একই অভিযোগ জানিয়েছিলেন। আই সি-র সঙ্গে আরও কয়েক জন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে তাঁর। এখনও এ নিয়ে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন রাজনৈতিক কারণে হত্যা করা হয়েছে তাঁর স্বামীকে। যতদিন না এই হত্যার বিচার হয় ততদিন তিনি ঝালদা পুরসভায় বোর্ড গঠন করতে দেবেন না, এমন তোপও দেগেছেন।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে এক ব্যক্তিকে। গত মঙ্গলবার পুলিশ গ্রেফতার করেছে তপন কান্দুর আত্মীয় দীপক কান্দুকে। দীপক সম্পর্কে তপন কান্দুর এক ভাইপো। তিনি এবারের পুর নির্বাচনে ঝালদা পুরসভার ২ নং ওয়ার্ড থেকে তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়িয়েছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শী অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দীপক কান্দুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন : Kalyan Chaubey attacked: সঙ্গে ১২ বছরের মেয়ে! তাও রক্ষে নেই, মশাগ্রামে কল্যাণ চৌবের গাড়ির উপর ‘হামলা’