Jhalda Councillor Murder Case: ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে গ্রেফতার ভাইপো দীপক কান্দু, পারিবারিক আক্রোশ থেকেই খুন?
Jhalda Congress Councillor Murder: মঙ্গলবার পুলিশ গ্রেফতার করে মৃত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর আত্মীয় দীপক কান্দুকে। দীপক সম্পর্কে তপন কান্দুর এক ভাইপো। তিনি এবারের পুর নির্বাচনে ঝালদা পুরসভার ২ নং ওয়ার্ড থেকে তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়িয়েছিলেন।
ঝালদা : অবশেষে ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে (Jhalda Congress Councillor Murder) গ্রেফতার করা হল এক ব্যক্তিকে। মঙ্গলবার পুলিশ গ্রেফতার করে মৃত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর আত্মীয় দীপক কান্দুকে। দীপক সম্পর্কে তপন কান্দুর এক ভাইপো। তিনি এবারের পুর নির্বাচনে ঝালদা পুরসভার ২ নং ওয়ার্ড থেকে তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়িয়েছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শী অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দীপক কান্দুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। একজন প্রত্যক্ষদর্শী সুভাষ গরাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে এই গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্ত দীপক কান্দুকে বুধবার আদালতে তোলা হবে। উল্লেখ্য, আগে থেকেই এমন একটি গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। পরিবারের দিকে আঙুল উঠছিল। বলা হচ্ছিল পরিবারের কেউ এই কাজ করে থাকতে পারেন। এরই মধ্যে মঙ্গলবার মৃত কাউন্সিলরের ভাইপোকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ঝালদা পুরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডেরই কাউন্সিলর ছিলেন তপন কান্দু। তপন কান্দুর নিজের দাদার ছেলে দীপক কান্দু ওই ওয়ার্ড থেকেই দাঁড়িয়েছিলেন তৃণমূলের টিকিটে। ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে এবার ছিল কাকা – ভাইপোর লড়াই। তপন কান্দু ছিলেন কংগ্রেসের প্রার্থী, দীপক কান্দু ছিলেন তৃণমূলের প্রার্থী। উল্লেখ্য, ঘটনার পরেই দীপক কান্দুকে ও তাঁর বাবাকে আটক করে রেখেছিল পুলিশ। যদিও তারা সেই সময় কিছুই স্বীকার করেননি। তারপরেও তাদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরই মধ্যে সেদিনের ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। সেই জিজ্ঞাসাবাদ থেকে প্রাথমিকভাবে যে তথ্য পুলিশ পায়, তখনই সন্দেহ করা হয়েছিল, ঘটনায় পারিবারিক একটি বিষয় জড়িয়ে রয়েছে। সেই মতো তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ এবং শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয় মৃত কাউন্সিলরের ভাইপো দীপক কান্দুকে।
বর্তমানে তাকে জেরা করছে পুলিশ এবং তার থেকে আরও তথ্য জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারী অফিসাররা। আগামিকাল (বুধবার) তাকে পুরুলিয়া জেলা আদালতে পেশ করা হবে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, তদন্ত যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে বেশ কিছু তথ্য উঠে আসছে। এদিকে ঝালদা এলাকাতে একটি দাবি প্রবলভাবে উঠে আসছিল, ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও কেন এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি? মঙ্গলবারের গ্রেফতারির পর পুলিশের তরফে এই বার্তাটা দেওয়া গেল, যে তাঁরা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন। উল্লেখ্য, মৃত কাউন্সিলর ও কংগ্রেস নেতৃত্বের তরফে ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন : CPIM State Conference: কমিটিতে আছেন, কিংবা দায়িত্বে আছেন, অথচ সক্রিয়তার অভাব! আত্মোপলব্ধি বামেদের