হেফাজতে যুবকের মৃত্যু! রণক্ষেত্র বরাকরে জ্বালিয়ে দেওয়া হল পুলিশের গাড়ি

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jul 06, 2021 | 1:15 PM

মৃত যুবকের পরিবারের তরফে জানানো হয়ছে, সোমবার রাতে তাঁদের বাড়ির ছেলেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। ওই যুবকের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ ছিল।

হেফাজতে যুবকের মৃত্যু! রণক্ষেত্র বরাকরে জ্বালিয়ে দেওয়া হল পুলিশের গাড়ি
উত্তপ্ত বরাকর

Follow Us

আসানসোল: পুলিশ হেফাজতে এক যুবকের মৃত্যু ঘিরে রণক্ষেত্র হয়েছে আসানসোলের (Asansol) বরাকর (Barakar)। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের গাড়িতে। অগ্নিগর্ভ এলাকায় জনমানব শূন্য রাস্তা, বন্ধ দোকানপাট! আরও বড় অশান্তির আশঙ্কায় প্রহর গুনছে প্রশাসন।

মৃত যুবকের পরিবারের তরফে জানানো হয়ছে, সোমবার রাতে তাঁদের বাড়ির ছেলেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। ওই যুবকের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ ছিল। সকালে পরিবারের কাছে যুবকের মৃত্যুর খবর আসে। পুলিশ হেফাজতের মধ্যেই বেধড়ক মারধরে যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে পরিবার।

খবর চাউর হতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। সামনে পুলিশ কর্মীরা এলে, পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ফাঁড়ি লক্ষ্য করে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। থানার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের গাড়িতেই আগুন ধরিয়ে দেন জনতা। কোনওরকমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

তবে দেহ যখন ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে, তখন পরিস্থিতি আবারও অগ্নিগর্ভ হবে বলে আশঙ্কা করছেন পুলিশ কর্তারা। আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ গোটা এলাকা। এ প্রসঙ্গে প্রাক্তন পুলিশ কর্তা সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই কোথাও একটা সাধারণ মানুষের ক্ষোভ উগরে আসে পুলিশের ওপর। বিক্ষোভ তারই বহিঃপ্রকাশ। পুলিশের ওপর কোথাও একটা চাপ তৈরি হয়। এই সব ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়াও একেবারে অন্য গতিতে হয়। তবে কারোর মৃত্যুই কাম্য নয়। পুলিশ কখনও উদ্দেশ্যপ্রণোদীত হয়ে এই কাজ করে না।”

আরও পড়ুন:  আদালতে হাজিরার আগেই ‘খুন’ জামিনে মুক্ত ‘মার্ডার কেসে’র অপরাধী

এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বরাকরের পরিস্থিতি এখনও অনেক খারাপ রয়েছে। মানুষ খুবই উত্তেজিত। কিন্তু পুলিশের যেসব অফিসাররা দোষী, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড, শোকজ করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তি কাম্য।”

Next Article