AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Asansol: চাকরি বাতিল, স্কুলে শিক্ষকই নেই! ছাত্র ভর্তি নেওয়াই বন্ধ করল স্কুল

Asansol: টিচার ইনচার্জ দীপিকা রায় জানান, ১২ জন শিক্ষকের মধ্যে আবার দু’জনের চাকরি চলে গিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তাঁরা ডিসেম্বর পর্যন্ত স্কুলে আসবেন ঠিকই। যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁরা দুজনেই একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়তেন। একজন পদার্থবিদ্যার, অন্যজন ইংরাজির।

Asansol: চাকরি বাতিল, স্কুলে শিক্ষকই নেই! ছাত্র ভর্তি নেওয়াই বন্ধ করল স্কুল
স্কুলে নেই শিক্ষক, বন্ধ ছাত্র ভর্তি!Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jun 03, 2025 | 12:02 PM
Share

আসানসোল: স্কুলে অনুমোদন ৩০ জন শিক্ষক শিক্ষিকার। রয়েছেন মাত্র ১২ জন। তার উপর সুপ্রিম রায়ে চাকরিহারা আরও ২ জন। পড়ানোর কেউ নেই। শিক্ষকের ঘাটতি! এই শিক্ষাবর্ষে তাই একাদশে ভর্তিই নেবে না বরাকরের উচ্চমাধ্যমিক স্কুল। ৭৫ বছরের ঐতিহ্যবাহী বরাকর শ্রী মারোয়ারি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে পড়ল নোটিস। নোটিসে বলা হয়েছে, ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে নতুন করে পড়ুয়াদের ভর্তি নেওয়া হবে না।

টিচার ইনচার্জ দীপিকা রায় জানান, ১২ জন শিক্ষকের মধ্যে আবার দু’জনের চাকরি চলে গিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তাঁরা ডিসেম্বর পর্যন্ত স্কুলে আসবেন ঠিকই। যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁরা দুজনেই একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়তেন। একজন পদার্থবিদ্যার, অন্যজন ইংরাজির। নতুন করে কোনও শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগ হয়নি। কেউ অবসর নিয়েছেন। কেউ হয়েছেন বদলি। এই অবস্থায় শিক্ষকের ঘাটতি। কিন্তু তারপর কী হবে? শিক্ষক নেই বলেই একাদশ শ্রেণিতে এবার ভর্তি নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে স্কুলের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

টিচার ইনচার্জ জানান, বিষয়টি জেলা স্কুল দফতরকে জানানো হয়েছে।অভিভাবকদের দাবি হঠাৎ করেই এই সিদ্ধান্তে তাঁদের সন্তানরা সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। নতুন স্কুলে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। কিন্তু সেখানও আসন সংখ্যার সমস্যা।

জেলা স্কুল শিক্ষা পরিদর্শক সৌমেন লাহা বলেন, “এই নিয়ে রিজিওন্যাল কাউন্সেলিংয়ের সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করবেন কীভাবে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি চালু করা যায়। অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।”

কুলটির বিজেপি বিধায়ক চিকিৎসক অজয় পোদ্দার বলেন, “আমার বাবা এই স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছিলেন। সেই স্কুলের আজ এই অবস্থা। বিধানসভায় এই প্রসঙ্গ তুলব আমি।”