Asansol Municipal Election: ‘কাউন্সিলর তো এলাকায় কোনও কাজই করেনি’, দিলীপ ঘোষকে নালিশ তৃণমূল প্রার্থীর

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jan 11, 2022 | 1:06 PM

West Bengal Municipal Elections 2022: আসানসোল পুরনিগমের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে এবার তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন রণবীর সিং ওরফে জিতু সিং।

Asansol Municipal Election: কাউন্সিলর তো এলাকায় কোনও কাজই করেনি, দিলীপ ঘোষকে নালিশ তৃণমূল প্রার্থীর
দিলীপ ঘোষের কাছ নালিশ তৃণমূল প্রার্থীর। নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

আসানসোল: চায়ে পে চর্চায় যোগ দিতে গিয়ে মহা বিড়ম্বনায় পড়তে হল বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। তাঁকে হাতের কাছে পেয়ে বিজেপির বিদায়ী কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল প্রার্থী। মঙ্গলবার সকালে আসানসোলের দিলদার নগরে এই ঘটনা ঘটে। দিলীপ ঘোষের গাড়ির সামনে এসে নিজের অভিযোগ জানান তৃণমূলের জিতু সিং। যদিও পরে পুলিশ তাঁকে সরিয়ে নেয়।

আসানসোল পুরনিগমের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে এবার তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন রণবীর সিং ওরফে জিতু সিং। এক সময় কংগ্রেস করতেন জিতু। এবার তৃণমূলের হয়ে ভোটে লড়ছেন। এই ওয়ার্ডেরই দিলদার নগরে মঙ্গলবার চায়ে পে চর্চা ছিল বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের। সেই কর্মসূচি সেরে গাড়িতে ফিরছিলেন দিলীপ।

হঠাৎই উল্টোদিক থেকে স্কুটি নিয়ে হাজির হন জিতু সিং। দিলীপ ঘোষ চালকের পাশে আসনে বসেছিলেন। জিতু সিং স্কুটি থামিয়ে দিলীপ ঘোষের কাছে বিদায়ী কাউন্সিলর তথা এবারের বিজেপি প্রার্থী ভৃগু ঠাকুরের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উগরে দেন। জিতু সিংয়ের দাবি, ভৃগু ঠাকুর কাজ না করে কামা রোজগার করেন। বিজেপি প্রার্থীর দুর্নীতিতে নাম রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। শেষে পুলিশ এসে তাকে সরিয়ে দেয়।

ভৃগু ঠাকুর সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন তৃণমূল প্রার্থী বড় ব্যবসায়ী। এসি ঘরে থাকেন। অথচ তিনি এখনও মাটির বাড়িতেই থাকেন। মাটি দাওয়াতে ঘুমোন। প্রচার পাওয়ার জন্য তৃণমূল প্রার্থী এসব করছেন বলে অভিযোগ করেন বিজেপির প্রার্থী।

জিতু সিং বলেন, “এই এলাকায় বিজেপি কোনও কাজ করেনি। ৪০০ ভোটও পাবে না ওরা। যেটুকু কাজ হয়েছে দিদির নির্দেশে মলয় ঘটক করেছেন। এখানকার মানুষ নিজের কাজ নিজে করে নিয়েছেন। আমি আমার রোজগার থেকে এই এলাকায় কাজ করিয়েছি। বাবুল সুপ্রিয় তো দেখলেন বিজেপির কিছু নেই। তাই তো তৃণমূলে যোগ দিলেন। রাম মনে থাকে, তাঁকে বিক্রি করার চেষ্টা করলে চলবে না। রামের বচন বলে সর্বধর্ম সমন্বয়ের কথা। দিলীপ ঘোষকে আমি বলেছি, এখানে কী করছেন? ওয়ার্ডটাকে শ্মশান বানানোর পর দেখতে এসেছেন? জল নেই, এমন ঘর রয়েছে যেখানে মানুষ থাকতে পারে না! কী কষ্ট করে ওরা থাকছে।”

যদিও পাল্টা বিজেপি প্রার্থী ভৃগু ঠাকুরের দাবি, “অভিযোগ যে কেউ করতেই পারে। পাঁচ বছরে আমি যতটা পেরেছি, তার আগে ১০ বছর যে ছিল এলাকাতে তো কিছুই করেনি। একটা রাস্তা ছিল না। কোনও জলের সুব্যবস্থা ছিল না। ড্রেন ছিল না, কাঁচা রাস্তাতে মানুষ হাঁটত। কিছু কাজ রয়ে গিয়েছে ঠিকই। গলির কাজ, জলের কাজ বাকি রয়েছে কিছুটা। পাঁচ বছরে ১০০টাই পুরো করে দেবে এটা তো সম্ভব নয়।”

আরও পড়ুন: কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে চলতি সপ্তাহেই মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী

Next Article