Dilip Ghosh: ‘তৃণমূল এখন বৃদ্ধাবাস, রিজেক্টেড নেতাদের পুনর্বাসনের জায়গা’, কটাক্ষ দিলীপের’

TV9 Bangla Digital | Edited By: সৈকত দাস

Nov 23, 2021 | 10:50 PM

Dilip Ghosh: "টিএমসিটা এখন ডাস্টবিন হয়ে গেছে। বৃদ্ধাবাস হয়ে গেছে... কাকে কী দেবেন বলেছেন, তা উনিই (পড়ুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) জানেন।''

Dilip Ghosh: তৃণমূল এখন বৃদ্ধাবাস, রিজেক্টেড নেতাদের পুনর্বাসনের জায়গা, কটাক্ষ দিলীপের
তৃণমূলকে কটাক্ষ দিলীপের। ফাইল চিত্র।

Follow Us

আসানসোল: তৃণমূল (TMC) বৃদ্ধাবাসে পরিণত হয়েছে। ‘বাতিল’ নেতাদের পুনর্বাসনের জায়গা এখন ঘাসফুল শিবিরই। সর্বভারতীয় স্তরে একাধিক নেতার তৃণমূলে যোগদান নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপি (BJP) সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

মঙ্গলবার দুর্গাপুরে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেখান থেকে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি চলে যান আসানসোলে সেন্ট্রাল পার্টি অফিসে। জেলার বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তার আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “টিএমসিটা এখন ডাস্টবিন হয়ে গেছে। বৃদ্ধাবাস হয়ে গেছে… কাকে কী দেবেন বলেছেন, তা উনিই (পড়ুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) জানেন।” তার পর দিলীপ যোগ করেন, “সব পার্টির রিজেক্টেড নেতাদের ধরে নিয়ে আসছেন দলে। তাঁদের পুনর্বাসন দেওয়ার জায়গা হয়ে গেছে পার্টিটা।”

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার কংগ্রেস নেতা কীর্তি আজাদ যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। তিরাশির বিশ্বকাপ জয়ী দলের অন্যতম সদস্য কীর্তি কংগ্রেসে আসার আগে ছিলেন বিজেপি সাংসদ। এদিন কীর্তি ছাড়াও তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন আরও এক প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা অশোক তানওয়ার। হরিয়ানার রাজনীতির আঙিনায় অশোক তানওয়ারে যথেষ্ট দাপট রয়েছে। তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন জেডিইউ নেতা পবন বর্মা-ও। অন্যদিকে জাভেদ আখতার এবং সুধীন্দ্র কুলকার্নির সঙ্গে মমতার সাক্ষাৎ ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা। এই প্রেক্ষিতেই কটাক্ষ করলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি। তাঁর দাবি, এঁরা সব ‘রিজেক্টেড নেতা’।

উল্লেখ্য, এদিনই আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ তথা পদ্মত্যাগী বাবুলকে বিঁধে সর্বহারা বলে মন্তব্য করেছেন দিলীপ। তাঁর কথায়, ‘সিপিএম সর্বহারা নয়, সর্বহারা কে জানেন? বাবুল সুপ্রিয়’। তিনি এও যোগ করেন, “বাংলায় বেইমানের সংখ্যা বাড়ছে। অটল বিহারী বাজপেয়ীজি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর ভরসা করেছিলেন, তিনি বেইমানি করেছেন। নরেন্দ্র মোদী বাবুল সুপ্রিয়র ওপর ভরসা করেছিলেন, তিনিও বেইমানিই করলেন। আজকে কোথায় দাঁড়িয়ে বাবুল সুপ্রিয়? ওঁর গাওয়া গান আজকে ওঁকেই শুনতে হচ্ছে ত্রিপুরাতে!” অন্যদিকে বুধবারে দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাক্ষাতের কথা। তা নিয়েও ফের ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, “ওয়াক্ত পোরে বাঁকা, তো গাধা কো বোলে কাকা। হাঁড়ি চড়ছে না। খাবার নেই। বেতন নেই। ডিএ নেই। এখন প্রধানমন্ত্রীর হাতে পায়ে ধরা ছাড়া উপায় নেই।”

আবার নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসের সঙ্গে বৈঠকের পর রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় কমিশনারকে চিঠি পাঠিয়েছেন। সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, “এই নিয়ে আমাদের কোনও কিছু বলার নেই। আমরা ভারতীয় জনতা পার্টি চেয়েছি সমস্ত পুরসভার ভোট একসঙ্গে হোক।”

এদিন দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বিজেপির এই দলীয় কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল ও বিধায়ক ডাক্তার অজয় পোদ্দার।

আরও পড়ুন: Online Education: বাংলায় ৫৮ শতাংশ পড়ুয়ার বাড়িতেই নেই মোবাইল, পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছে ক’জন?

Next Article