‘আমার অপরাধ কী?’ তৃণমূলের প্রবল বিক্ষোভের মুখে রাস্তাতেই বসে পড়লেন জিতেন্দ্র!

Jitendra Tiwari: জিতেন্দ্র তিওয়ারির কথায়, "একজন অসুস্থ মানুষের খবর জানতে চাওয়াও কি অপরাধ?'' তিনি অভিযোগের সুরে বলেন, যদি তৃণমূল সত্যিই পাণ্ডবেশ্বরে মানুষের স্বার্থে কাজ করে থাকে, তাহলে তিনি পাণ্ডবেশ্বরে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে ভয়ের পরিবেশ কেন সৃষ্টি করা হল?

'আমার অপরাধ কী?' তৃণমূলের প্রবল বিক্ষোভের মুখে রাস্তাতেই বসে পড়লেন জিতেন্দ্র!
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 11, 2021 | 10:45 PM

পাণ্ডবেশ্বর: অসুস্থ বিজেপি কর্মীকে তাঁর বাড়িতে দেখতে গিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়লেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari)। প্রতিবাদে রাস্তাতেই বসে পড়লেন পাণ্ডবেশ্বরের প্রাক্তন বিধায়ক! ছুটে এল পুলিশ।

এদিন সোনালী গিরি নামে এক অসুস্থ বিজেপি কর্মীকে দেখতে তাঁর বাড়িতে যান জিতেন। পাণ্ডবেশ্বরের খোট্টাডিহি এলাকায় সেই বিজেপি কর্মীর সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়িতে পৌঁছাতেই এলাকার এক তৃণমূল নেতার নেতৃত্বে জিতেনকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাযন একদল যুবক। জিতেন্দ্র তেওয়ারির অভিযোগ, এই সময় তৃণমূল সমর্থকরা তার নাম করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে শুরু করেন। এমনকি সোনালী গিরির বাড়ির বাইরে স্লোগান দেয় এবং তাঁর বাড়িতে পাথরও ছোড়া হয়। এখানেই শেষ নয়।

সোনালী গিরির সঙ্গে দেখা করে তাঁর বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসার সময় ফের তৃণমূল সমর্থকরা জিতেন্দ্র তিওয়ারির সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ। এর প্রতিবাদে ক্ষিপ্ত বিজেপি নেতা রাস্তায় বসে পড়েন। গোটা ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ছুটে আসে পুলিশ। বেশ কিছুক্ষণ পরে নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি।

পাণ্ডবেশ্বরের প্রাক্তন বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারির কথায়, “একজন অসুস্থ মানুষের খবর জানতে চাওয়াও কি অপরাধ?” তিনি অভিযোগের সুরে বলেন, যদি তৃণমূল সত্যিই পাণ্ডবেশ্বরে মানুষের স্বার্থে কাজ করে থাকে, তাহলে তিনি পাণ্ডবেশ্বরে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে ভয়ের পরিবেশ কেন সৃষ্টি করা হল? বলেন, স্বাধীন ভারতে যে কোন মানুষের যে কোন জায়গায় যাওয়ার স্বাধীনতা আছে। একজন নাগরিক হিসেবে তিনি যে কোন জায়গায় যেতে পারেন।

বিজেপি কর্মী সোনালী গিরি সম্প্রতি টিউমারের অপারেশন করেছেন। তার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন জিতেন্দ্র কুমার তেওয়ারি। তিনি দাবি করেন এই সৌজন্য স্বাক্ষাৎকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হচ্ছে। সোনালী গিরির বাড়িতে যাওয়ার একদিন আগেই তিনি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছিলেন বলে দাবি করেন তিনি। তা সত্ত্বেও পুলিশের উপস্থিতিতে তাঁকে কেন হেনস্থা করেছে তৃণমূল। তিনি জানিয়েছেন ভয় দেখিয়ে তাঁকে আটকানো যাবে না। যখন খুশি দলের কর্মীদের সঙ্গে তিনি দেখা করবেন।

এদিকে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী জানান, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনেও যোগাযোগ নেই। সোনালী গিরি নামে পাণ্ডবেশ্বরের যে বিজেপি কর্মীর বাড়িতে জিতেন্দ্র তেওয়ারি গিয়েছিলেন, তিনি একসময় চাকরি দেওয়ার নাম করে লোকের কাছে টাকা নিয়েছিলেন। এলাকার মানুষজন তারই প্রতিবাদে ওই বাড়িতে যান। সেই সময় প্রাক্তন বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি ঘটনাস্থলে পৌঁছলে মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনেও যোগাযোগ নেই বলে দাবি করেন নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। আরও পড়ুন: জিটিএ-এর গেস্ট হাউসে বিমল-বিনয়ের মুখোমুখি বৈঠক! পাহাড়ে সমীকরণ বদলের ইঙ্গিত?