কলকাতা: রাজ্যের দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচন ১২ এপ্রিল। বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের পাশাপাশি ভোট হবে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে। ইতিমধ্যেই দুই কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল। তবে বিরোধীদের কেউ এখনও প্রার্থী না দিলেও ভোটের ময়দানে নেমে পড়েছে সকলেই। বিজেপি ইতিমধ্যেই কোন কেন্দ্রে কে ভোট সামলাবেন তার তালিকা ঘোষণা করেছে। আসানসোলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে। সঙ্গে থাকবেন ভাটপাড়ার সাংসদ অর্জুন সিং, পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো এবং বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী। অন্যদিকে বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে। সঙ্গে থাকছেন সঞ্জয় সিং, সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, অশোক দিন্দা।
২০১৪ সালে বাংলায় তখনও বিজেপি মাটি তৈরির চেষ্টা করছে। সেবার বাংলার দু’টি কেন্দ্রে জয় পেয়েছিল তারা। একটি দার্জিলিং, অন্যটি আসানসোল। খনি অধ্যুষিত রুখাসুখা আসানসোলে সবাইকে চমকে দিয়ে প্রার্থী করা হয়েছিল বাবুল সুপ্রিয়কে। নজরকাড়া সাফল্যও এসেছিল তাঁর হাত ধরে। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র থেকে ৭০ হাজার ৪৮০ ভোটের মার্জিন রেখেছিলেন বাবুল। ২০১৯ সালেও বাবুল সুপ্রিয়কেই প্রার্থী করা হয় এই কেন্দ্রে। সে বার মার্জিনও বাড়ান তিনি। ১ লক্ষ ৯৭ হাজারের বেশি ভোটে জয় পান।
তবে সম্প্রতি বিজেপি ছাড়ার পাশাপাশি সাংসদ পদও ছেড়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। ফলে এখানে উপনির্বাচন হচ্ছে। আর এই উপনির্বাচনে তৃণমূল মুখ করেছে বলিউডের সুপারস্টার শত্রুঘ্ন সিনহাকে। ফলে এবার জোর টক্কর সেখানে। বিজেপি কাকে প্রার্থী করবে তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। সবথেকে বেশি গুঞ্জন জিতেন্দ্র তিওয়ারির নাম নিয়ে। তবে প্রার্থী যেই হোক না কেন, প্রচারে যাতে কোনও খামতি না থাকে সেদিকে বিশেষ নজর বিজেপির। এই আসন ধরে রাখতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। প্রচারে ঝাঁঝ বাড়াতে তাই এবার সেখানে যাচ্ছেন ‘নন্দীগ্রামের ছেলে’। এর আগে পুরনিগমের ভোটেও শুভেন্দু অধিকারী সেখানে প্রচার করেছেন। তৃণমূলকে নিশানা করেছেন ধারাল বাক্যবাণে। এবার তাঁর সঙ্গে থাকছেন অর্জুন সিংও।