Cattle Smuggling Case: গরু পাচার মামলা সরেছে দিল্লিতে, আসানসোল কি আবারও হয়ে উঠছে সেফ করিডর?
Cattle Smuggling Case: লরিতে ১৮ টি গরু এবং ১৩ টি বাছুর ছিল। গরু বোঝাই লরির কাগজপত্র রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কিন্তু অভিযোগ ওই লরির চালক এবং খালাসি পালিয়ে গিয়েছে। তাই কাগজপত্র ঠিকমতো পুলিশের হাতে আসেনি।

আসানসোল : ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে গরু পাচার। বিহার ঝাড়খণ্ডের গরু পাচারের নতুন বা সেফ করিডর হয়ে উঠছে আসানসোলের জাতীয় সড়ক। একদিকে গরু পাচারের মামলা স্থানান্তরিত হয়েছে এ রাজ্য থেকে দিল্লিতে। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে গরু পাচারের ইডি ও সিবিআইয়ের মামলা শুরু হয়েছে। ধৃত অনুব্রত মণ্ডল, সুকন্যা মণ্ডল, সেহেগল হোসেনরা রয়েছেন দিল্লির তিহাড় জেলে। অন্যদিকে অভিযোগ, আসানসোল সিবিআই আদালত থেকে গরু পাচারের মামলা সরে যেতেই ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে গরু পাচার চক্র। বুধবার রাতে ৩৮ টি গরু বোঝাই বড় লরি ধরা পড়ল ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর।
জামুড়িয়ার স্থানীয় মানুষজন ধরে ফেললেন সেই লরি। রাতের অন্ধকারে গরুগুলি পাচারের অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এবারের ঘটনাস্থলে আসানসোলের নিঘা। অভিযোগ, নিঘার ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি গরু বোঝাই লরি আটক করে জামুড়িয়া থানার পুলিশের হাতে তুলে দিল এলাকাবাসী। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে লরি করে গরু পাচার হচ্ছিল। পুলিশ গরু বোঝাই লরিটি আটক করেছে।
লরিতে ১৮ টি গরু এবং ১৩ টি বাছুর ছিল। গরু বোঝাই লরির কাগজপত্র রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কিন্তু অভিযোগ ওই লরির চালক এবং খালাসি পালিয়ে গিয়েছে। তাই কাগজপত্র ঠিকমতো পুলিশের হাতে আসেনি। অন্যদিকে লরিটির নম্বর পশ্চিম বাংলার। তাই ঝাড়খণ্ড থেকে লরিটি ঢুকে কোথায় যাচ্ছিল সেই নিয়ে ধন্দে রয়েছে। ওই লরিতে যেভাবে গাদাগাদি করে গরু নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তাতে একটি বাছুর মারা গিয়েছে। বেশ কয়েকটি অসুস্থ বলে অভিযোগ।
রাতেই জামুড়িয়া থানার শ্রীপুর এলাকা থেকে রানিগঞ্জের পাঞ্জাবি মোড় ফাঁড়ি এলাকায় গরু বোঝাই ওই লরিটি নিয়ে যাওয়া হয়। এবং আপাতত স্থানীয় একটি গোশালায় গরুগুলিকে রাখা হয়েছে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তিনদিন আগে মাইথন থানা সংলগ্ন এলাকায় গরু বোঝাই কন্টেনার ধরে ফেলে গো রক্ষা বাহিনী। পার্সেল কন্টেনারের আড়ালে গরু পাচার হচ্ছিল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে পাচারকারীদের সংঘাত বাঁধে পুলিশের সামনে।
গত জুন মাসে আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল নিজে শহরের প্রাণ কেন্দ্র ভগত সিং মোড়ে গরু বোঝাই পিকআপ ভ্যান ধরে ফেলেন ও পর্যাপ্ত কাগজপত্র দেখতে না পেয়ে পুলিশের হাতে গরুগুলি তুলে দেন। অভিযোগ, আসানসোল এখন গরু পাচারের সেফ করিডর। আসানসোলে সিবিআই আদালতে গরু পাচারের যে মামলা চলছিল বা বলা যায় অনুব্রত মণ্ডল-সহ অন্যদের মামলা এখন স্থানান্তরিত হয়েছে দিল্লিতে।
