Chittaranjan Railway Station Viral Video: নিয়ন আলোতে সুন্দরী তন্বীদের ব্লাউজের খাঁজে গুঁজে দিচ্ছেন নোট! শিবরাত্রিতে চিত্তরঞ্জন রেলস্টেশন জিআরপির OC-র ভিডিয়ো ভাইরাল

Chittaranjan Railway Station Viral Video: নাচতে দেখা গেছে চিত্তরঞ্জন রেলস্টেশনের বেশ কয়েকজন জিআরপি-সহ ওসি সুরেশ পাসওয়ানকেও।

Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 22, 2023 | 3:59 PM

আসানসোল: শিবরাত্রি উপলক্ষে মধ্যরাতের জলসা। নিয়ন আলো, ডিকচিক গান আর চটুল নাচ। নাম ‘রঙ্গারঙ্গ কারিওক্রম’। সেই অনুষ্ঠানে তন্বীদের সঙ্গে নাচ করতে দেখা গেল চিত্তরঞ্জন রেলস্টেশন GRP-র ওসিকে। ঘটনায় ছড়াল বিতর্ক। ভাইরাল ভিডিয়ো নিয়ে তোলপাড় আসানসোল রেল ডিভিশনলের চিত্তরঞ্জন এলাকা। শিবরাত্রি উৎসবকে সামনে রেখে চিত্তরঞ্জন রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় অশ্লীল নাচের অভিযোগ উঠল। ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে হলুদ সোয়েটার, সাদা প্যান্ট পরে রয়েছেন চিত্তরঞ্জন রেলস্টেশন GRP-র ওসি সুরেশ পাসোয়ান। তাঁকে ঘিরে নাচ করছে দুজন তন্বী। কখনও প্যান্টের পকেট থেকে টাকা নিয়ে ওই ওসি নাচ করতে থাকা মহিলার ব্লাউজে গুঁজে দিচ্ছেন, কখনও আবার দেখা যাচ্ছে ওই মহিলাদের হাতে টাকা গুঁজে দিচ্ছেন। আঙুলের খাঁজে খাঁজে রয়েছে সেই টাকা। শুধু তাই নয়, নাচতে দেখা গেছে চিত্তরঞ্জন রেল স্টেশনের বেশ কয়েকজন জিআরপি-সহ ওসি সুরেশ পাসওয়ানকেও।

এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় উঠেছে দিকে দিকে। কীভাবে একজন জিআরপি আধিকারিক এই অশ্লীল নাচে অংশ নিলেন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। জানা গেছে ১৯ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। চিত্তরঞ্জন স্টেশন লাগোয়া শিব মন্দিরের পুরোহিত সুরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি বলেন, “শিবরাত্রির রাতে নাচ গান হয়ে থাকে। তবে তা মর্যাদাপূর্ণ হওয়া উচিত।G সেখানে মর্যাদা লঙ্ঘন হওয়া উচিত নয়। অশ্লীল নাচও কাম্য নয়। সেখানে কোন পুলিশ আধিকারিকের থাকাটাও সমাজে ভুল বার্তা দেয়।”

চিত্তরঞ্জন লাগোয়া সালানপুর ব্লক। সালানপুরের মধ্যে রয়েছে চিত্তরঞ্জন রেল শহর। সালানপুর তৃণমূল ব্লক সহ সভাপতি ভোলা সিং ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। তিনি বলেন, বাংলায় এই ধরনের কালচার নেই। বাংলা লাগোয়া চিত্তরঞ্জন রেল স্টেশনের যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। ভিডিয়োটি ভাইরাল হতেই তোলপাড় হতে শুরু করেছে। আসানসোল রেল ডিভিশনের আওতায় রয়েছে চিত্তরঞ্জন রেলস্টেশন। কিন্তু চিত্তরঞ্জন স্টেশনটি রয়েছে ঝাড়খণ্ডের মিহিজামের ওপর। তাই এখানকার জিআরপির দায়িত্বে রয়েছে ঝাড়খণ্ডের পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ঝাড়খণ্ড পুলিশের কেউ এ বিষয়ে মন্তব্য করেননি।