CPIM vs TMC: ‘ব’ টেনে দেখতে গিয়েছিল, কতটা শক্ত: বিশ্ব বাংলা লোগো উপড়ানো প্রসঙ্গে সেলিম
Burdwan CPIM: আসানসোলে সেলিম বলেন, "আমাদের ছেলেরা লড়াইয়ের ময়দানে আছে, আমরা পাশে থাকব না?"
আসানসোল : কিছুদিন আগে বর্ধমানে সিপিএম-এর আইন অমান্যকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধে গিয়েছিল। উপড়ে ফেলা হয়েছিল কার্জন গেট চত্বরে বসানো বিশ্ব বাংলার লোগো। সেই প্রসঙ্গে সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, “আমাদের ছেলেরা ‘ব’ টেনে দেখতে গিয়েছিল কতটা শক্ত। কিন্তু কাটমানি নিয়ে তা এমন তৈরি করা হয়েছে, তা একটুতেই ভেঙে পড়ল। আসল কথা নবান্নের ভিত কতটা শক্ত, তা পরীক্ষা করার আগে ছেলেরা বর্ধমান সার্ভে করছিল। এই ‘ব’ দিয়ে বাংলার মানুষদের বোকা বানানো হচ্ছে।” শনিবার আসানসোলের ডিওয়াইএফআই-এর একটি সমাবেশ ছিল। সেখানেই মঞ্চ থেকে এই মন্তব্য করেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
পরে মহম্মদ সেলিম মঞ্চ থেকে নামার সময় সংবাদমাধ্যমের তরফে বর্ধমানের ধুন্ধুমার পরিস্থিতির বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, “সব সময় কর্মীদের পাশে রয়েছি। অনুব্রত চুরি করেছে তাতেও তাঁর পাশে মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন। আর আমাদের ছেলেরা লড়াইয়ের ময়দানে আছে, আমরা পাশে থাকব না? ছেলেরা ভাল কাজ করছে।”
প্রসঙ্গত ওই সমাবেশ থেকে মহম্মদ সেলিম রাজ্য ও কেন্দ্রকে একযোগে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, “বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস দুটিই ফ্যাসিবাদী শক্তি। এই দুই দলের কাছে অপরাধ কোনও ব্যাপার নয়। কোন অপরাধ হলেও, তারা ব্যস্ত হয়ে পড়ে অপরাধীদের বাঁচানোর জন্য।”
যদিও সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের এই মন্তব্যের পর তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র দেবু টুডু জানিয়েছেন, “২০১১ সালের পর সিপিএম ছিল না। উঠে গেল দলটা। ২০১৯ সালে সব বিজেপি হয়ে গেল। লালটা গেরুয়া হয়ে গেল। সেই গেরুয়া দলই আবার লাল পার্টিতে ফিরে আসছে। দুই একটা লোক নিয়ে, চিড়িয়াখানার জন্তুরা এসে, হনুমান যেমন লাফালাফি করে, তেমন লাফাচ্ছে। কিছু হবে না। বাংলার মানুষ ভোলেনি। ডাকাতরা চোর ধরতে বেরিয়েছে, হাসিও পায়। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করেছে কি না, কলা চুরি করেছে কি না, দোকান লুট করেছে কি না… সব লোকে দেখেছে। টিভিতে দেখা গিয়েছে।”