Asansol Stampede: আসানসোলে পদপিষ্ট হয়ে মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিল রাজ্য সরকার
Asansol Stampede: বুধবার শুভেন্দু অধিকারীর সভা শেষে কম্বল বিতরণের সময় পদপিষ্ট হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে, যা ঘিরে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে।

আসানসোল: আসানসোলের সভা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। একদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, তিনি সভা ছেড়ে চলে যাওয়ার পর পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে, রাজ্য সরকার এই মর্মান্তিক ঘটনার দায় বিজেপি তথা শুভেন্দুর দিকেই ঠেলেছে। এরই মধ্যে ঘটনার পরের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবারই নিহত ও আহতদের পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণের টাকা তুলে দিল রাজ্য সরকার। মৃতদের পরিবার প্রতি ২ লক্ষ টাকা করে ও আহতদের পরিবারের হাতে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার আসানসোলে শুভেন্দু বক্তব্য রেখে চলে যাওয়ার পর শুরু হয় কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান। সেখানেই হঠাৎ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। পদপিষ্ট হয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন দুই মহিলা ও এক কিশোরী। মৃতদের নাম চাঁদমণি দেবী (৫৫), ঝালি বাউরি (৬০) এবং প্রীতি সিং (১২)। গুরুতর আহত হন আরও কয়েকজন।
বৃহস্পতিবার রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেন। উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, তাঁদের জন্য স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই দুজনের এই কার্ড হয়ে গিয়েছে , বাকি চারজনের শুক্রবারের মধ্যে কার্ড হয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে।
চন্দ্রনাথ সিনহার দাবি, অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও ছোট জায়গায় বহু মানুষকে নিয়ে সভা করা হয়েছে। তার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। তাঁর কথায়, বিজেপির সভায় লোক হচ্ছে না বলেই কম্বল দিয়ে মানুষকে আনার চেষ্টা চলছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে মৃত ঝালি বাউরির ছেলে জানান, রাজ্য সরকার তাঁদের পাশে রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর মা ওই সভায় গিয়েছিলেন। ফিরছেন না দেখে ছেলে হাসপাতালে খোঁজ শুরু করেন। তখনই জানতে পারেন তাঁর মায়ের মৃত্যু হয়েছে।
