Asansol Flood: জলের তলায় জাতীয় সড়ক, বাড়ির মধ্যে ঢুকছে নর্দমার জল

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Sep 30, 2021 | 10:22 PM

Flood in West Bengal: কোটি কোটি টাকা খরচ করে হাইড্রেন তৈরি করে কী লাভ হল? প্রশ্ন এলাকাবাসীর। রাস্তা জলে ডুবে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন একাধিক এলাকায়।

Asansol Flood: জলের তলায় জাতীয় সড়ক, বাড়ির মধ্যে ঢুকছে নর্দমার জল
আসানসোলে জলের তলায় জাতীয় সড়ক (নিজস্ব চিত্র)

Follow Us

আসানসোল: একদিনে আসানসোলে (Asansol) বৃষ্টি হয়েছে ৪৩৪.৫ মিলিমিটার। সাধারণত সেপ্টেম্বর মাসে আসানসোল-রানিগঞ্জ অঞ্চলে যে পরিমাণ বৃষ্টি (Heavy Rain) হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় তার দ্বিগুণ বৃষ্টি হয়েছে বলে জানাচ্ছেন আবহবিদেরা। যার ফলে আসানসোল-দুর্গাপুর (Durgapur) কার্যত বানভাসি। টানা বৃষ্টির জেরে জমা জলে চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হয়েছেন সাধারণ মানুষ। অবাক করে দিয়েছে জাতীয় সড়কে জল জমার ছবিও।

টানা বৃষ্টিতে জল থইথই আসানসোল। গাড়ুই ও নুনিয়া নদীর জল দু’কূল ছাপিয়ে উঠে এসেছে আসানসোলের রেলপাড় এলাকায়। জলমগ্ন হওয়ায় কার্যত অবরুদ্ধ উত্তর আসানসোল। আসানসোল উত্তরে যাওয়ার তিনটি রাস্তাতেই রয়েছে রেলের টানেলগেট। সেই টানেল গেটের সবকটিতেই জল জমে যাওয়ায় কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে উত্তর আসানসোলের বাসিন্দাদের। জলের নীচে কল্যাণপুর, ডিপোপাড়া এলাকাও।

শহরের মধ্যে একাধিক জায়গা জলমগ্ন। জলে ভাসছে জাতীয় সড়ক। রাস্তার জল ঠেলেই এগোচ্ছে যানবাহন। এমনকি আ্যাম্বুলেন্স পৌঁছতেও চরম অসুবিধার মুখে পড়তে হচ্ছে। জলের নিচে চলে গিয়েছে আসানসোলের জিটি রোড। ঊষাগ্রাম থেকে একেবারে শতাব্দীপার্ক পর্যন্ত ৪ ফুট জল জমে গিয়েছে জিটি রোডের ওপর। এর ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে জলের নীচে চলে যায় দুই নম্বর জাতীয় সড়কও। ঝাড়খন্ড থেকে দুর্গাপুর গামী গাড়ির লেন বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুধুমাত্র দুর্গাপুর থেকে ঝাড়খন্ডগামী রাস্তা দিয়েই ভারি পণ্য যাতায়াত করতে দেওয়া হয় এদিন। কারণ জাতীয় সড়কের একটা বড় অংশ জলের তলে চলে যাওয়ায় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা তৈরি হয়। বিপদ এড়াতে তাই বন্ধ করে দেওয়া হয় জাতীয় সড়কের ওপর যাতায়াত।

প্রবল বৃষ্টিতে বানভাসি রানিগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকাও। বুধবার রাতেই রানিগঞ্জের হোসেননগর এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বানভাসি এলাকা থেকে বাসিন্দাদের অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যেতে নামানো হয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। গোটা ঘটনার জন্য এলাকার নিকাশি ব্যবস্থাকেই দায়ী করেছেন রানিগঞ্জের বাসিন্দারা। অভিযোগ, ৮ কোটি টাকা দিয়ে হাইড্রেন তৈরি হয়েছে বটে, তবে তা পরিকল্পনামাফিক তৈরি করা হয়নি। এর ফলেই নর্দমার জল উপচে পড়ছে রাস্তায়। এমনকি বাড়ির মধ্যেও ঢুকে পড়ছে নর্দমার জল। আসানসোল, রানিগঞ্জের মতো শহরেরও কেন জলযন্ত্রণার এই ছবি? এতদিন কী করেছে প্রশাসন? প্রশ্ন এলাকাবাসীর।

এ দিকে অনেকটা একই ছবি দুর্গাপুরেও। মঙ্গলবার রাত থেকে লাগাতার বৃষ্টির জেরে অন্ডালের রেলওয়ে আন্ডার পাস রোড জলমগ্ন । অন্ডাল স্টেশন ও সাউথ বাজারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অন্ডালের বাকি অংশের। দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়ানো হয়েছে ইতিমধ্যেই। এখন দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে ছাড়া হচ্ছে ২,৩১,২৪৮ কিউসেক জল। সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে গভীর রাতে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়ানো হতে পারে। ফলে, আশঙ্কা বাড়ছে এলাকায়।

আরও পড়ুন: Weather Update: নিম্নচাপের ইউ-টার্ন! এবার বিরামহীন বৃষ্টিতে ভিজতে চলেছে উত্তরবঙ্গ

Next Article