Durgapur: ‘এই…এই’ বলেই এক ঘা, কীর্তি আজাদের সামনেই মারপিট, দলের গোষ্ঠী কোন্দলে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লেন তৃণমূল প্রার্থী

Durgapur:প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে রাজ্যে রাজনৈতিক পালা বদলের পর দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা ঠিকা শ্রমিক সংগঠনের রাশ সিটুর হাতবদল হয়ে শাসক দলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির হাতে আসে। শ্রমিক নেতা প্রভাত চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা শেখ শাহাবুদ্দিন সহ অন্যান্যরা এই ঠিকা শ্রমিক সংগঠন দেখভালের দায়িত্ব পান।

Durgapur: 'এই...এই' বলেই এক ঘা, কীর্তি আজাদের সামনেই মারপিট, দলের গোষ্ঠী কোন্দলে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লেন তৃণমূল প্রার্থী
কীর্তি আজাদের সামনেই গোষ্ঠী কোন্দলImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 31, 2024 | 1:03 PM

দুর্গাপুর: প্রচারে তখন ব্যস্তি ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ। পায়ে হেঁটেই চলছিল প্রচার। নিজেই কার্যত হাত দেখিয়ে ‘কন্ট্রোল’ করছিলেন। হঠাৎ করেই তাঁর সামনেই কার্যত এক তৃণমূল কর্মী এসে হামলা করলেন অপরজনের উপর। একদম কীর্তি আজাদের সামনেই শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর মারামারি দুর্গাপুরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের আমরাইয়ে।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে রাজ্যে রাজনৈতিক পালা বদলের পর দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা ঠিকা শ্রমিক সংগঠনের রাশ সিটুর হাতবদল হয়ে শাসক দলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির হাতে আসে। শ্রমিক নেতা প্রভাত চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা শেখ শাহাবুদ্দিন সহ অন্যান্যরা এই ঠিকা শ্রমিক সংগঠন দেখভালের দায়িত্ব পান। তখন থেকেই শুরু হয়ে যায় ১২ নম্বর ওয়ার্ডে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। একদিকে আমিনুর রহমান ও তাঁর গোষ্ঠী। অন্যদিকে শেখ শাহাবুদ্দিন ও তাঁর গোষ্ঠী। মাঝে মধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ১২ নম্বর ওয়ার্ড। এমনকী শেখ শাহাবুদ্দিন একবার গুলিবিদ্ধ হন। এরপর গোষ্ঠী কোন্দল আরও প্রকট আকার ধারণ করে।

কিছুদিন আগে আইএনটিটিইউসি রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, “আইএনটিটি ইউসির জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটকের হাত ধরে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা ঠিকা শ্রমিক সংগঠনের কমিটিতে বদল আসার পর। শেখ শাহাবুদ্দিন এবং তাঁর সঙ্গীদের জায়গায় কমিটিতে রাখা হয় আমিনুর রহমান ও তাঁর সঙ্গীদের। নতুন করে ১২ নম্বর ওয়ার্ডে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ঘৃতাহুতি পড়ে।

এতদিন যে আগুন ধিকধিক করে জ্বলছিল। রবিবাসরীয় সকালে বর্ধমান- দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কীর্তি আজাদ ১২ নম্বর ওয়ার্ডে আসেন প্রচারে। প্রথমেই বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় শেখ শাহাবুদ্দিনকে তৃণমূল কংগ্রেসের ২ নম্বর ব্লক সভাপতি উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে।

শহিদ বেদীতে মাল্যদান করার পর কীর্তি আজাদকে সঙ্গে নিয়ে শাহাবুদ্দিন ও তাঁর দলবল আমরাই গ্রামের রাস্তায় মিছিল শুরু করেন। অপরদিকে, ৩০০ মিটার দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন আমিনুর রহমান ও তাঁর দলবল। কীর্তি আজাদকে নিয়ে শাহাবুদ্দিন ও তাঁর দলবল সেখানে যাওয়া মাত্রই শুরু হয়ে যায় দুই পক্ষের হাতাহাতি। অস্বস্তিতে পড়ে প্রার্থী কীর্তি আজাদ সহ দলের অন্যান্য নেতৃত্বরা ।

প্রভাত চট্টোপাধ্যায়কেও দেখা যায় ঘটনাস্থলে। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন কীর্তি আজাদ। সামনেই থাকা একটি মন্দিরে গিয়ে বিশ্রাম নিতে দেখা যায় কীর্তি আজাদকে। ঘটনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে শেখ শাহাবুদ্দিন বলেন,”আমরা যখন প্রার্থীকে নিয়ে মিছিল করছিলাম,সেই সময় অনেক অবাঞ্ছিত লোক ঢুকে পড়ে আমাদের মিছিলে। তারাই মূলত গন্ডগোল করতে শুরু করে। আমি দলের উচ্চ নেতৃত্বকে বিষয়টি জানাব। আমিনুর রহমান বা তাঁর গোষ্ঠীর কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।”