আসানসোল: কয়েকদিন পরেই আসানসোলের পুরভোট। তার আগে বাম ও কংগ্রেসের ঘর ভাঙলো তৃণমূল। তৃণমূলে যোগদান করলেন কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেত্রী ও রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ট ইন্দ্রাণী মিশ্র।
মহিলা কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সম্পাদক ছিলেন ইন্দ্রাণী। আসানসোল রবীন্দ্রভবনে রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের হাত ধরে নিয়ে ইন্দ্রাণী মিশ্র যোগ দিলেন তৃণমূলে। এর আগে কংগ্রেসের হয়ে ইন্দ্রাণী মিশ্র আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে এবং আসানসোল উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে খোদ রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন।
তাঁর তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় কংগ্রেসের যেমন একদিকে ক্ষতি হল তেমনি তার পাশাপাশি তৃণমূল শক্তিশালী হল। ইন্দ্রাণী মিশ্র জানিয়েছেন, রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ও রাজ্যের উন্নয়নের ধারায় মানুষের কাজ করতেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, “মাননীয় মন্ত্রী মলয় ঘটককের অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয় আমি তৃণমূলে যোগ দিলাম। প্রত্যেককে গৌরিক অভিনন্দন। আমি আজ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি শুধুমাত্র আসানসোলের উন্নতিতে সামিল হবো বলে। এখানকার নাগরিক হিসেবে কিছু নৈতিক দায়িত্ব থেকে যায়। এর আগে আসানসোলের অবস্থা দেখেছি। এখনও দেখছি। যেখানে আগে আসানসোলের ছেলে মেয়েদের বাইরে পড়তে যেতে হত। সেখানে আজ বাইরে থেকে আসানসোলের ছেলে-মেয়েরা আসে পড়তে।”
তবে শুধু ইন্দ্রাণী মিশ্র নয়, এদিন তৃণমূলে যোগ দিলে সিপিআইয়ের জেলা কমিটির নেতা তথা আসানসোল পৌরনিগমের প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র মানিক মালাকার। মন্ত্রী মলয় ঘটক জানান, আগামী দিনে রাজ্যে বিরোধী শক্তি বলে কিছু থাকবে না। ওই দুই হেভিওয়েট নেতার পাশাপাশি জামুরিয়া ও বার্নপুর থেকেও বিপুল সংখ্যক বাম ও কংগ্রেস কর্মী তৃণমূলের ঝাণ্ডা তুলে নেন।
ওই যোগদান মেলা কর্মসূচিতে উপস্থিত পুরপ্রশাসক তথা তৃণমূল নেতা অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়, আইএনটিটিইউসি জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটক, প্রাক্তন বরো চেয়ারম্যান অনিমেষ দাস, সহ অন্যরা। যোগদানের প্রেক্ষিতে প্রদেশ কংগ্রেস রাজ্য সম্পাদক প্রসেনজিত পুইতণ্ডির দাবি ইন্দ্রাণীর সঙ্গে সাধারণ মানুষের সংযোগ ছিল না। দলের কোনও ক্ষতি হবে না।
আরও পড়ুন: Taliban in Afghanistan: একা বাড়ি থেকে দূরে ভ্রমণ করতে পারবেন না মহিলারা, নতুন ফতোয়া তালিবানের
আরও পড়ুন: TMC Clash: রক্তদান অনুষ্ঠানে কেন আমন্ত্রণ জানানো হয়নি? রড-বাঁশ দিয়ে মারপিট তৃণমূলের দুই পক্ষের
আরও পড়ুন: Deocha Pachami Coal Mining Project: পাচামি এলাকায় মাও-পোস্টার, ‘জোর করে ভয় দেখানো’-র অভিযোগ দিলীপের