Cow Smuggling Case: ‘কুমির ছানার মতো একই জিনিস বার বার দেখানো হচ্ছে’, CBI-এর ভূমিকায় সরব সায়গলের আইনজীবী
Saigal Hossian: মামলার তদন্তে নতুন করে কিছুই পাওয়া যায়নি। কুমির ছানার মতো একই জিনিস বার বার করে দেখানো হচ্ছে বলেও আদালতে জানান সায়গলের আইনজীবী।
আসানসোল: বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে শুক্রবার ফের পেশ করা হয়েছিল আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে। অথচ সেখানে দেখা পাওয়া গেল না সিবিআই আইনজীবীর। এমনকী তদন্তকারী অফিসারও আদালতে হাজির ছিলেন না। কোনও কেস ডায়েরিও রাখা ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে আদালতে বিষয়টি বিচারকের নজরে আনেন সায়গলের আইনজীবী অনির্বাণ গুহ ঠাকুরতা। তাঁর বক্তব্য, মামলার তদন্তে নতুন করে কিছুই পাওয়া যায়নি। কুমির ছানার মতো একই জিনিস বার বার করে দেখানো হচ্ছে বলেও আদালতে জানান সায়গলের আইনজীবী।
নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে যুক্তিও দেন তিনি। আইনজীবী অনির্বাণ গুহ ঠাকুরতার বক্তব্য, সিবিআইয়ের তরফে গত তিন দিন আগে দেখানো হয়েছিল, ফ্ল্যাট এবং ব্যাঙ্কের ড্রাফট সংক্রান্ত তথ্য সদ্য তাঁদের হাতে এসেছে। কিন্তু এই তথ্য সঠিক নয় বলেই দাবি তাঁর। নিজের দাবির প্রমাণ হিসেবে, আদালতের কাছে ৫ জুলাইয়ের তথ্য তুলে ধরেন তিনি এবং দাবি করেন, তখনও ফ্ল্যাট এবং ব্যাঙ্কের ড্রাফট সংক্রান্ত তথ্য অন্য মোড়কে দেখানো হয়েছিল। তাঁর বক্তব্য, সিবিআই কুমির ছানার মতো একই জিনিস বার বার করে দেখাচ্ছে এবং জামিনের বিরোধিতা করছে।
সায়গলের আইনজীবী যখন এই কথাগুলি বিচারককে জানান, তখন সিবিআইয়ের কোনও আইনজীবী আদালতে ছিলেন না। তাই বিচারক নিজেই ফোন করেন সিবিআই আইনজীবী রাকেশ কুমারকে। সায়গলের আইনজীবী যে অভিযোগটি করছেন, সেই বিষয়টি নিয়ে সিবিআই আইনজীবীকে জানান এবং এই বিষয়ে তাঁর মত জানতে চান। উত্তরে অবশ্য সিবিআই আইনজীবীও জানান, বিগত তিন দিনে নতুন করে কিছু তদন্তে উঠে আসেনি। কিন্তু, যেহেতু সায়গলের নামে প্রচুর পরিমাণ সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে, তাই তাঁর জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করা হচ্ছে।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য আসানসোলের সিবিআই আদালতের বিচারক সায়গলের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। ফের তাঁকে ১৩ দিনের জন্য জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আগামী ৫ অগস্ট বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে আসানসোলে সিবিআই বিশেষ আদালতে পেশ করা হবে।
উল্লেখ্য, তিন দিন আগেও সায়গল হোসেনের জামিনের জন্য আদালতে সওয়াল করেছিলেন তাঁর আইনজীবী। সেখানে তিনি গরু পাচার মামলায় নাম জড়ানো বিএসএফ কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমারের প্রসঙ্গে টানেন। যুক্তি দেওয়া হয়, তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মী। তিনি জামিন পেয়েছেন। তাহলে সায়গল হোসেন কেন জামিন পাবেন না, সেই নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন তাঁর আইনজীবী।