দুর্গাপুর: পরিকল্পনা করা হয়েছিল আগেই। আজ হল শিলান্যাস। বুধবার দুর্গাপুরে ৪০০ কোটি টাকার সেই প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পানাগড় শিল্পতালুকে শিল্পায়নের বার্তা দেওয়া হয়েছিল ২০০৮ সালে। সেই শিল্প তালুকেই স্থাপিত হচ্ছে একটি পলিফিল্ম কারখানা। এই কারখানায় কয়েক’শ মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
‘কর্মসংস্থান বাড়ছে বাংলায়’
করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও এ রাজ্যে দারিদ্র্য কমানো হয়েছে ও কর্মসংস্থান বাড়ানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘দেশে যখন কর্মসংস্থান কমছে, আমরা তখন ৪০ শতাংশ দারিদ্র্য কমিয়েছি। ৪০ শতাংশ কর্মসংস্থান বাড়িয়েছি।’
শিল্পই লক্ষ্য মমতার
শিল্পই যে এই মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মূল লক্ষ্য, সে কথাই এ দিন বারবার বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, সামাজিক স্কিমের পর এ বার শিল্পের দিকেইনজর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। এ দিন শিল্যান্যাসের মঞ্চ থেকে একাধিক প্রকল্পের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাজপুর বন্দর, ডেডিকেটেড ফেট করিডর সহ একাধিক প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন তিনি। বেশ কয়েকটি প্রকল্পে ইতিমধ্যেই জমি দিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার, বাকিগুলির কাজ চলছে বলেও জানান তিনি। যাতে অনেক বেশি কর্মসংস্থান হয়, সে দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। কয়লা খনি থেকে শুরু করে আইটি- সব ক্ষেত্রে প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। প্রায় দেড় লক্ষ কোটির প্রকল্প ও ৪-৫ লক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ আনা হচ্ছে বলে ঘোষণা করেন তিনি।
নতুন এমপাওয়ারমেন্ট গ্রুপ, চেয়ারম্যান মমতা
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন শিল্পের কথা মাথায় রেখে একটি নতুন এমপাওয়ারমেন্ট গ্রুপ তৈরি করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে যাতে চেয়ারম্যান হিসেবে থাকবেন। এ ছাড়া পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ বেশ কয়েকজন রাজ্যের মন্ত্রীও থাকবেন সেই গ্রুপে। রাজ্যের বিভিন্ন শিল্পের কী অবস্থা, কতটা আভাব রয়েছে, তা খতিয়ে দেখবে এই গ্রুপ।
‘একসঙ্গে সবার ভিড় করার কোনও প্রয়োজন নেই’
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, সামজিক স্কিমের ক্ষেত্রে এক নম্বর স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। ‘দুয়ারে সরকার’ ও ‘লক্ষীর ভাণ্ডার’-এর মতো প্রকল্পের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। পাশাপাশি, এই সব স্কিমের ফর্ম তুলতে মানুষের ভিড় বাড়ছে, তাই সেই সব মানুষকে বার্তা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘একসঙ্গে সবার ভিড় করার কোনও প্রয়োজন নেই। কবে কোথায় ফর্ম দেওয়া হবে, তা জানিয়ে দেওয়া হবে।’
ব্যাঙ্ক খোলা রাখার সময় স্বাভাবিক করার ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
করোনা পরিস্থিতিতে ব্যাঙ্ক খোলার রাখার সময় পরিবর্তন করা হয়েছিল। মাসে দুটি শনিবারের বদলে বন্ধ রাখা হচ্ছিল প্রত্যেক শনিবার। এ ছাড়া ৩ টে পর্যন্ত ব্যাঙ্ক খোলা রাখার কথা বলা হয়েছিল। এ বার সেই সময় ফের স্বাভাবিক করার কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে বাইরে বেরলে ভিড় এড়ানোর বিষয়ে সতর্ক করেন ও মাস্ক পরার কথা বলেন তিনি। আরও পড়ুন: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ অধ্যাপকের বিরুদ্ধে, ফের বিতর্কে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়