TMC: বাদ পড়লেন মলয় ঘটকের ভাই, ঋতব্রতর নেতৃত্বে নজর রাজ্যের দুই শিল্পাঞ্চলে
TMC: একদিকে হলদিয়া যেমন গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চল, তেমনই আসানসোলের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। আসানসোল অঞ্চলে রয়েছে একাধিক কয়লাখনি। কয়লা কেলেঙ্কারিতেও এই অঞ্চলের নাম উঠে এসেছে বারবার।

কলকাতা: রাজ্যের দুই গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাচলেও এবার বীরভূম মডেল! হলদিয়া, আসানসোলের মতো এলাকায় এবার নজর রাখবে খোদ রাজ্য নেতৃত্ব। ঋতব্রত বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে চেয়ারম্যান পদে রেখে গড়ে দেওয়া হল কোর কমিটি। স্থানীয় নেতৃত্বের হাত থেকে কি সরছে ক্ষমতা? উঠছে প্রশ্ন।
পশ্চিম বর্ধমানের আইএনটিটিইউসি সভাপতি অভিজিৎ ঘটক থাকছেন না ওই কোর কমিটিতে। জেলা সংগঠনের সভাপতি পদে থাকলেও দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল কমিটিতে নাম নেই অভিজিতের। সম্পর্কে বিধায়ক মলয় ঘটকের ভাই তিনি।
একদিকে হলদিয়া যেমন গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চল, তেমনই আসানসোলের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। আসানসোল অঞ্চলে রয়েছে একাধিক কয়লাখনি। কয়লা কেলেঙ্কারিতেও এই অঞ্চলের নাম উঠে এসেছে বারবার। নাম জড়িয়েছে আসানসোল উত্তরের বিধায়ক মলয় ঘটকেরও। একাধিকবার তাঁকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তাঁর বাড়িতে তল্লাশিও চালানো হয়েছে। বারবার অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে তৃণমূলকে।
অন্যদিকে শ্রমিক শাখার তমলুক জেলা কমিটিতেও নেই সভাপতি। আর তমলুকের মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চল হল হলদিয়া। এই সব জায়গায় স্থানীয় নেতাদের দাদাগিরি রুখতেই কি এই পদক্ষেপ তৃণমূলের?
উল্লেখ্য, সোমবার উত্তরবঙ্গে শিল্প সংক্রান্ত বৈঠক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তারপরই শিল্পাঞ্চল নিয়ে এই পদক্ষেপের কথা জানাল তৃণমূল। আগে তমলুকের জন্য একটি জেলা কমিটি ছিল। আর দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটির অন্তর্গত ছিল। এবার জেলা কমিটি থেকে পৃথক কমিটি তৈরি করা হল। আর রাখা হল না সভাপতিকে।
দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের কোর কমিটিতে থাকবেন মানস অধিকারী, রাজেশ কোনার, সুশান্ত রায়, লিটন সরকার, অভিষেক দে, হরদীপ সিং, দেবব্রত কেশ, পূর্ণ নন্দ চট্টোপাধ্যায়, শেখ আমিনুর রহমান ও আকবর আলি। অন্যদিক, তমলুক শিল্পাঞ্চলের কোর কমিটিতে রয়েছেন আস্তিক চট্টোপাধ্য়ায়, প্রদীপ দে, অসীম মাজি, শঙ্কর দণ্ডপাত, শ্যামল মাইতি, সুদীপ্ত ভক্ত, শেখ আলমগীর ও আলম জিলানি।





