দল টিকিট দিলেও ‘বেইমান’দের পিছন থেকে শিক্ষা দেবেন! কর্মিসভায় বিস্ফোরক তৃণমূলের উজ্জ্বল

Asansole TMC: একুশের ভোটে দলে থেকে দলের ক্ষতি করার চেষ্টা করেছেন ইদানিং তাঁরাই আবার বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচিতে হাজির থাকছেন। এমনই পর্যবেক্ষণ পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের।

দল টিকিট দিলেও 'বেইমান'দের পিছন থেকে শিক্ষা দেবেন! কর্মিসভায় বিস্ফোরক তৃণমূলের উজ্জ্বল
কর্মিসভায় এসে ফের একবার দলীয় কাউন্সিলরদের এক হাত নিলেন প্রাক্তন বিধায়ক তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 14, 2021 | 8:20 AM

পশ্চিম বর্ধমান: বেইমান দলীয় কাউন্সিলররা যদি আগামী পুরভোটে টিকিট পান, তা হলে পিছন থেকে শিক্ষা দেওয়া হবে। সোমবার এক কর্মিসভায় এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়।

পুরভোটের আগে কর্মিসভায় এসে ফের একবার দলীয় কাউন্সিলরদের এক হাত নিলেন প্রাক্তন বিধায়ক তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়। মঞ্চ থেকে সরাসরি কার্যত হুমকির সুরে উজ্জ্বল বলেন, যে সমস্ত কাউন্সিলর সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে আসানসোল উত্তর, আসানসোল দক্ষিণ এবং কুলটিতে কোনও কাজ করেননি। যে সমস্ত কাউন্সিলর বা দলের নেতারা দলকে পিছন থেকে ছুরি চালিয়েছেন, একুশের ভোটে দলে থেকে দলের ক্ষতি করার চেষ্টা করেছেন ইদানিং তাঁরাই আবার বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচিতে হাজির থাকছেন। একেবারে সামনের সারিতে দেখা যাচ্ছে তাঁদের।

উজ্জ্বলের কথায়, বিধানসভা ভোটের আগে দলের হয়ে কাজের কথা বললেই যাঁরা করোনার অজুহাত খাঁড়া করে দিতেন, এখন কোনও বৈঠকে ডাকলে তাঁরাই সবার আগে পৌঁছে যাচ্ছেন। তাঁরা আর করোনার অজুহাত দিচ্ছেন না। এরপরই পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যানের হুঁশিয়ারি, বৈঠকে আসলেও কোনও ভাবেই যেন তাঁরা ভোটের টিকিট না পান সেদিকে দেখা হবে। কোনও ভাবে তাঁরা যদি টিকিট পেয়েও যান, তাহলে পিছন থেকে হলেও শিক্ষা দিতে হবে।

উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় এই সভায় বলেন, ‘কেউ বেইমানি করেও যদি ভাবে আবার টিকিট পেয়ে যাবেন, তা হলে যে ভাবে হারানো হয়েছে আমাদের, আমরাও হারানোর জন্য তৈরি থাকব। আমরাও পিছন থেকে টানব। পিছন থেকে যেমন ছুরি মারা হয়েছে, আমরাও বুঝে নেব।’

আসানসোলের রবীন্দ্রভবনে দলীয় সমস্ত পঞ্চায়েত সদস্য এবং কাউন্সিলরদের নিয়ে সোমবার এক সভার আয়োজন করা হয়। পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের তরফ থেকে সেই মঞ্চেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে কার্যত এই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন উজ্জ্বল। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি বিধান উপাধ্যায়, দুর্গাপুর পুরনিগমের মেয়র দিলীপ অগস্তি, আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটক, তৃণমূলের আসানসোল পুর এলাকার কনভেনার ভি শিবদাসন দাসু, দুর্গাপুরের বিধায়ক প্রদীপ মজুমদার, জামুরিয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।

বৈঠকে শেষে পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি বিধান উপাধ্যায় বলেন, ভবিষ্যতে কী ভাবে জেলায় তৃণমূলকে আরও শক্তিশালী করা যায় সে বিষয়ে সকলকে একজোট হতে হবে। সকলে মিলে মুষ্ঠিবদ্ধভাবে লড়াই করে বিরোধীদের পরাস্ত করতে হবে। একই সঙ্গে উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্যকেও সমর্থন করেন বিধান উপাধ্যায়। তাঁর প্রতিক্রিয়া, “উজ্জ্বলবাবু খুব একটা ভুল কথা তো কিছু বলেননি। দলে থেকেও যাঁরা বেইমানি করেছেন, তাঁদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান।”

আরও পড়ুন: ধুম জ্বরে নেতিয়ে পড়ে রয়েছে শতাধিক শিশু, কালপ্রিট খুঁজতে কলকাতায় পাঠানো হচ্ছে নমুনা

আরও পড়ুন: নজিরবিহীন ‘সৌজন্য’! অবস্থানকারী পড়ুয়াদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়