Tourist Death In Uttarakhand: ‘ব্রেক ওয়েল পোড়ার গন্ধ পাচ্ছিলাম, তখনই বিপদ আঁচ করেছিলাম’, উত্তরাখণ্ডের প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন পর্যটকরা

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Oct 31, 2021 | 7:51 AM

Tourist Death In Uttarakhand: টিপুবাবুর দাবি, যে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল সেখানকার চিকিতসা পরিষেবা একেবারেই ভালো না। ওষুধ না দিয়ে কার্যত বেডে ফেলে রাখা হয়েছিল তাঁদের। দিল্লি গিয়ে মাথায় ব্যান্ডেজ ও অন্যান্য পরীক্ষা করিয়েছেন তিনি।

Tourist Death In Uttarakhand: ব্রেক ওয়েল পোড়ার গন্ধ পাচ্ছিলাম, তখনই বিপদ আঁচ করেছিলাম, উত্তরাখণ্ডের প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন পর্যটকরা
উত্তরাখণ্ডের প্রশাসনের ওপর ক্ষোভ উগরে দেন পর্যটকরা (ফাইল ছবি)

Follow Us

 আসানসোল: রানিগঞ্জের (Raniganj) টিডিবি কলেজের জুওলজি বিভাগের ল্যাব টেকনিশিয়ান চন্দনা খান ভট্টাচার্য্য এবার উত্তরাখণ্ডে গেছিলেন স্বামী টিপু খান ভট্টাচার্যের সঙ্গে। স্ত্রীর সঙ্গে একই গাড়িতে থাকায় দীপান্বিতাদেবীর মত টিপুবাবুও মারাত্মকরকমের আহত হয়েছেন। রানিগঞ্জে আসতেই টিপু খান ক্ষোভ উগরে দিলেন উত্তরাখন্ড সরকারের প্রতি। তাঁর অভিযোগ, পর্যটকদের যে গাড়িগুলি নিয়ে যাওয়া হয় পাহাড়ে সেগুলি ঠিকমত দেখাশোনা হয় না (Tourist Death In Uttarakhand)।

তিনি বলেন, “আমাদের গাড়িতে ব্রেক ওয়েল পোড়ার গন্ধ পাচ্ছিলাম। আমরাই চালককে বলি মেরামত করিয়ে নিতে। কিন্তু সে করেনি। বলেছিল নৈনিতালে গিয়ে মেরামত করাবেন। তার আগেই ব্রেক ফেল করে আমাদের গাড়ি খাদে নদীতে পড়ে গেল। বেশিরভাগেরই ব্রেন হেমারেজ হয়ে মৃত্যু হল।”

টিপুবাবুর দাবি, যে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল সেখানকার চিকিতসা পরিষেবা একেবারেই ভালো না। ওষুধ না দিয়ে কার্যত বেডে ফেলে রাখা হয়েছিল তাঁদের। দিল্লি গিয়ে মাথায় ব্যান্ডেজ ও অন্যান্য পরীক্ষা করিয়েছেন তিনি।

মৃতদেহ রানিগঞ্জ আসানসোলে আসতেই শনিবার প্রতিবেশীদের ভিড় জমান এলাকায়। কান্নায় ভেঙে পড়েন আত্মীয় স্বজনরা। এদিন এমনই ছবি দেখা গেল আসানসোলের মহিশীলা কলোনি ও রানিগঞ্জের সিয়ারশোল ও টিডিবি কলেজ ক্যাম্পাসে।

কলকাতা বিমানবন্দর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে মৃতদেহ নিয়ে আসেন রাজ্যের আইন ও পূর্ত দফতরের মন্ত্রী মলয় ঘটক। এদিন সকালে দিল্লি বিমানবন্দর থেকে পর পর দুটি বিমানে ৫ টি মৃতদেহ কলকাতা বিমানবন্দরে এসে নামে। সেখানে সেই মৃতদেহগুলি রিসিভ করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও মলয় ঘটক। রানিগঞ্জে দুই পর্যটকের বাড়িতে ছিলেন রানিগঞ্জের বিধায়ক তথা আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা আড্ডার চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। আসানসোলে ছিলেন আসানসোল পুরনিগমের পুরপ্রশাসক অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় ও পুর প্রশাসক বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মানস দাস।

আসানসোলে মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরেই পর্যটকদের পাশে রয়েছেন। উত্তরাখন্ড থেকে মৃতদেহ নিয়ে আসা হয়েছে। খুবই দুঃখজনক ঘটনা।

লক্ষ্মী পুজোর পরের দিন এক ট্যুর অপারেটরের সঙ্গে ৩০ জনের একটি দলের সঙ্গে উত্তরাখন্ডে বেড়াতে গেছিলেন শ্রাবণী চক্রবর্তীও। শ্রাবনীদেবীর সঙ্গী ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত ইসিএল কর্মী স্বামী যদুনাথ চক্রবর্তীও। তিনি এই দুর্ঘটনায় আহত হন। এদিন যদুনাথবাবুর সঙ্গে দিল্লি থেকে আসেন ছেলে বাচ্চু ওরফে শুভজিৎ চক্রবর্তী। বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে মায়ের মৃতদেহ দেখেই নিজের চোখের আর ধরে রাখতে পারেননি শ্রাবণীদেবীর মেয়ে সুমনা চক্রবর্তী। আত্মীয় স্বজনরা বলেন, “বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানোর নেশা ছিলো চক্রবর্তী দম্পতির। প্রতিবছর তাঁরা ঘুরতেন। কিন্তু এভাবে দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু হবে ভাবতে পারেনি কেউ।”

অন্যদিকে জানা গিয়েছে, বাকি পর্যটকরা বিকেলে লালকুয়া থেকে আসানসোল ফেরার জন্য ট্রেনে চেপেছেন। এখানে তাদের পরিবারের সদস্যরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন কবে ফিরবেন তাঁরা।

গত ২১ তারিখ উত্তরাখণ্ড বেড়াতে গেছিলেন আসানসোল রানিগঞ্জ দুর্গাপুরের ৩০ জন পর্যটক। উত্তরাখণ্ডের মসিহারি থেকে কৌশানি যাওয়ার পথে পর্যটকদের গাড়ি খাদে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই ৫ জনের। আহত হন ৭ জন।

আরও পড়ুন: কার্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে খুন তৃণমূল নেতা! জনরোষে পুড়ল অভিযুক্তের বাড়ি

Next Article