Asansol By Election: ‘সরি স্যর’, মোদীর কাছে দুঃখপ্রকাশ অগ্নিমিত্রার
By Election Result: ২০১৪ সালে যখন প্রথমবার এই লোকসভা কেন্দ্রে বাবুল সুপ্রিয়কে বিজেপি প্রার্থী করল, প্রচারে এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী।
পশ্চিম বর্ধমান: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) খুব পছন্দের কেন্দ্র আসানসোল (Asansol)। ২০১৪ সালে যখন প্রথমবার এই লোকসভা কেন্দ্রে বাবুল সুপ্রিয়কে বিজেপি প্রার্থী করল, প্রচারে এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। বলেছিলেন, ‘মুঝে বাবুল চাহিয়ে’। আসানসোলবাসী তাঁকে ফেরাননি। ঠিক পাঁচ বছর পর ২০১৯ সালেও বাবুল সুপ্রিয়কে বিজেপি প্রার্থী করেছিল। সে সময়ও বাবুলের হয়ে ভোটপ্রচার করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। মানুষ হাত উপুড় করে ভোট দেন বিজেপিকে। কিন্তু বাবুলের দলত্যাগ, তৃণমূলে যোগদান, আসানসোলে উপনির্বাচন এবং বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের ৩ লাখেরও বেশি ভোটে হার — বদলে দিল গত ৯ বছরের ছবিটাই। রাজ্যে যখন সে অর্থে বিজেপির কিছু ছিল না, সেই সময় আসানসোলে পদ্ম ফুটেছিল। শনিবার উপনির্বাচনে সেই পদ্মই ঝড়ে পড়ল। এরপরই টুইটারে অনুতাপ প্রকাশ করেন অগ্নিমিত্রা পাল। নরেন্দ্র মোদীকে ট্যাগ করে টুইট করেন তিনি।
Sorry @narendramodi Sir.. I tried my best but couldn’t give you this seat….
My war is to save Democracy in West Bengal
Democracy has been murdered in West Bengal
My war is on Sir✊
— Agnimitra Paul BJP (@paulagnimitra1) April 16, 2022
টুইটারে অগ্নিমিত্রা পাল লেখেন, “দুঃখিত নরেন্দ্র মোদী স্যর। আমি আমার সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করেও আপনাকে আসানসোল আসনটা দিতে পারলাম না। পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র রক্ষাই আমার লড়াই। পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। আমার লড়াই চলবে স্যর।” নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোলে বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ৩ লক্ষ ৫২ হাজার ৫৩। শতাংশের নিরিখে ৩০.৫২। তৃণমূলের সেখানে প্রাপ্ত ভোট ৬ লক্ষ ৫২ হাজার ৫৮৬। শতাংশের নিরিখে ৫৬.৫৭ শতাংশ। আসানসোলের ফল নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “শুরু থেকেই আক্রমণ চলছে। আজও মেরেছে ওরা। এই তৃণমূল তো এটাই করছে। সন্ত্রাসের জেরে অনেককেই আমরা পাশে পাইনি।
প্রথমবার আসানসোল আসন পেল তৃণমূল। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র থেকে রেকর্ড ভোটে জিতেছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। একইসঙ্গে এই ‘বিহারীবাবু’র হাত ধরেই বিরোধীদের দুর্জয়ঘাঁটি অবশেষে হাতে পেয়েছে তৃণমূল। ২০১১ সালের আগে তো নয়ই, তৃণমূল এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরও দু’বার লোকসভা ভোট হয়েছে। কিন্তু আসানসোল জিততে পারেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। এই দশ বছরে সিপিএম-কংগ্রেসের একাধিক গড় ওলটপালট করে দিয়েছে তৃণমূল । কিন্তু বধ্যভূমি থেকে গিয়েছে আসানসোল। কয়লা খনির রুখাসুখা মাটিতে ‘আসান’ হয়নি ঘাসফুল ফোটানো। হলই বা উপনির্বাচন, তবু জয় এল তৃণমূলের। নিঃসন্দেহে এই ফল তাৎপর্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন: Ballygung By Election Counting: বালিগঞ্জে বড় চমক সায়রা শাহ হালিমের, বুদ্ধবাবুর ওয়ার্ডে সিপিএমের জয়