AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Medinipur: ‘দিলীপ ঘোষকে হারানোর চক্রান্ত’! ভোটের মুখে বিজেপিই বাড়াচ্ছে বিজেপির অস্বস্তি

Bengal BJP: সেখানকার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়া মণ্ডল সভাপতি তপন কুইল্যা-সহ ৩১ জন নেতা এই নিয়ে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কাছে। মণ্ডল সভাপতি ছাড়াও তালিকায় রয়েছেন মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ, যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক, কিষাণ মোর্চার সভাপতি-সহ আরও অনেকে।

Medinipur: 'দিলীপ ঘোষকে হারানোর চক্রান্ত'! ভোটের মুখে বিজেপিই বাড়াচ্ছে বিজেপির অস্বস্তি
দিলীপ ঘোষImage Credit: Facebook
| Edited By: | Updated on: Feb 04, 2024 | 6:45 AM
Share

মেদিনীপুর: সামনেই লোকসভা ভোট। আর ঠিক ভোটের মুখেই বিজেপির অস্বস্তি বাড়াচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা। দলের নতুন জেলা সভাপতি সুদাম পণ্ডিতের কাজকর্ম ও সিদ্ধান্তে অখুশি দলের নীচুতলার একাংশের নেতা-কর্মীরা। এমন অবস্থায় এবার তাই জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে দলীয় পদ ছাড়তে চাইছেন বিজেপির সদ্য দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়া মণ্ডল সভাপতি-সহ ৩১ জন বিজেপি নেতা। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় দক্ষিণ মণ্ডলে। সেখানকার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়া মণ্ডল সভাপতি তপন কুইল্যা-সহ ৩১ জন নেতা এই নিয়ে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কাছে। মণ্ডল সভাপতি ছাড়াও তালিকায় রয়েছেন মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ, যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক, কিষাণ মোর্চার সভাপতি-সহ আরও অনেকে।

শুধু রাজ্য সভাপতির কাছেই নয়, ইমেল ও হোয়াটসঅ্য়াপ মারফত নিজেদের হতাশার কথা জানিয়ে এই ইস্তফাপত্র পাঠানো হয়েছে সাংসদ দিলীপ ঘোষ, অমিত মালব্যদের কাছেও। মণ্ডল সভাপতির বক্তব্য, তাঁকে ২০২১ সালে মণ্ডল সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। বলছেন, ‘তখন এলাকায় বিজেপির পতাকা ধরার মতো কেউ ছিল না এই চত্বরে। সেখান থেকে তিলে তিলে করে সংগঠন তৈরি করা হয়েছে।’ কিন্তু তাঁর আফশোস, নতুন জেলা সভাপতি সুদাম পণ্ডিত নতুন নতুন পদ দিচ্ছেন। তাঁর ক্ষোভ, যাঁরা অতীতে বিজেপির পার্টি অফিসে তালা ঝুলিয়েছিলেন, পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলকে জেতাতে সাহায্য করেছিলেন, তাঁদের পদ দেওয়া হচ্ছে। মণ্ডল সভাপতির অভিযোগ, ‘সাংসদ দিলীপ ঘোষকে হারানোর জন্য তৃণমূলের সঙ্গে মিলে চক্রান্ত চলছে।’

বিষয়টি নিয়ে জেলা সভাপতির কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া না গেলেও বিজেপির জেলা মুখপাত্র এটিকে সংগঠনের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবেই ব্যাখ্যা করছেন। বিজেপির জেলা মুখপাত্র অরূপ দাস বলছেন, ‘এটি সম্পূর্ণ দলীয় সাংগঠনিক বিষয়। বিভিন্ন সময়ে আমাদের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। যে মণ্ডল সভাপতিকে দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে, তাঁর জন্য অন্য কিছু ভাবা হবে। সামনে নির্বাচন রয়েছে। এমন নয় যে তাঁকে দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে মানেই দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন সামনে, তাঁকে আরও ভাল দায়িত্ব দেওয়া হবে। যে ক্ষোভ রয়েছে, সেটাও দলীয় স্তরে আলোচনা হবে।’