Molestation Case : বারোর নাবালিকাকে একা পেয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, কাঠগড়ায় পঁয়তাল্লিশের ব্যক্তি
Molestation Case :ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা থানা এলাকায়। ধৃতের বয়স ৪৫।
পশ্চিম মেদিনীপুর : নাবালিকার শ্লীলতাহানির (Molestation) অভিযোগে গ্রেফতার এক। সূত্রের খবর, ধৃত ব্যক্তি এলাকার তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার চন্দ্রকোনা থানা এলাকায়। ধৃতের বয়স ৪৫। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, সরস্বতী পুজোর দিন গ্রামের ১২ বছরের এক আদিবাসী নাবালিকাকে একা পেয়ে শ্লীলতাহানি করে তারই এক প্রতিবেশী। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়। উত্তেজিত জনতা অভিযুক্তর বাড়ি ঘেরাও করে ভাঙচুর করে বলেও অভিযোগ। নাবালিকার বাড়ির তরফ থেকে চন্দ্রকোনা থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়। তারপরেই মাঠে নামে পুলিশ।
অভিযোগ পেয়ে তড়িঘড়ি গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। যদিও অভিযুক্তের পরিবারের সদস্যদের দাবি, গোটা ঘটনার পিছনে রয়েছে বড়সড় চক্রান্ত। চক্রান্ত করেই ফাঁসানো হয়েছে তাঁদের বাড়ির লোককে। শুক্রবার ধৃত ব্যক্তিকে ঘাটাল আদালতে তোলে পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলেও। ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শাসক তৃণমূলও। অভিযুক্তের কড়া শাস্তির দাবি তোলা হয়েছে। এ বিষয়ে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মহাদেব মল্লিক বলেন, “এরকম ঘটনার সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক তাঁকে ক্ষমা করা হবে না। পুলিশকে বলবো অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে।” অন্যদিকে শাসকদলকে কাঠগড়ায় তুলে তোপ দেগেছে পদ্ম শিবির। শাসকদলের কর্মীদের চরিত্র নিয়েও তোলা হয়েছে প্রশ্ন।
কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়ে বিজেপি নেতা শিবরাম দাস বলেন, “সাধারণ মানুষের এবার বোঝা উচিত, শাসকদলের কর্মীরা কতটা নোংরা হতে পারে। পুলিশ প্রশাসনকে বলব শাসক দলের কর্মী বলে যেন ওকে রেহাই না দেওয়া হয়।” অভিযুক্তের কড়া শাস্তির দাবি তুলেছেন নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরাও।