Paschim Medinipur: টেন্ডার জমা দেওয়া নিয়ে গণ্ডগোল, র্নিবাহী সহায়ককে মারধরের অভিযোগ উঠল প্রধানের বিরুদ্ধে

Paschim Medinipur: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা দু'নম্বর ব্লকের বান্দিপুর এক গ্রাম পঞ্চায়েত। সেখানে বান্দিপুর এক নং গ্রাম পঞ্চায়েতের এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট জিয়ারুল রহমানের অভিযোগ, অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাঁকে মারধর করে তাপস দোলুই নামে এক ব্যক্তি (তাপস দলুই ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতা)।

Paschim Medinipur: টেন্ডার জমা দেওয়া নিয়ে গণ্ডগোল, র্নিবাহী সহায়ককে মারধরের অভিযোগ উঠল প্রধানের বিরুদ্ধে
(নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 17, 2023 | 8:23 AM

পশ্চিম মেদিনীপুর: বিডিও-র নির্দেশে কাজ করতে গিয়ে প্রধানের রোসের মুখে গ্রাম পঞ্চায়েতের এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট (নির্বাহী সহায়ক)। এমনকী মারধরের অভিযোগ উঠল প্রধান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। যাকে ঘিরে তুমুল শোরগোল। সুবিচার চেয়ে ব্লকের অধীনে থাকা সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের র্নিবাহী সহায়করা একত্রিত হয়েনিরাপত্তার দাবিতে দ্বারস্থ হলে বিডিও-র কাছে। ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি বিডিওর।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা দু’নম্বর ব্লকের বান্দিপুর এক গ্রাম পঞ্চায়েত। সেখানে বান্দিপুর এক নং গ্রাম পঞ্চায়েতের এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট জিয়ারুল রহমানের অভিযোগ, অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাঁকে মারধর করে তাপস দোলুই নামে এক ব্যক্তি (তাপস দলুই ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতা)। গ্রাম পঞ্চায়েতে বেশ কয়েক দিন ধরেই কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে একটা ঝামেলা চলছিল। টেন্ডার প্রক্রিয়ায় শনিবার টাকা জমা নেয়ার শেষ দিন ছিল। আর সেই দিন প্রধান গ্রাম পঞ্চায়েতে উপস্থিত ছিলেন না প্রাধান। তাই বিডিওর নির্দেশেই টাকা জমা নিতে গিয়েছিলেন জিয়ারুল। এতেই প্রধানের রোষের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। এমনটাই দাবি জিয়ারুলের।

জানা গিয়েছে, এই ঘটনার পর সোমবার এক প্রস্তর গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে প্রধানের অনুগামীদের ক্ষোভের মুখে পড়ে জিয়ারুল। এমনকী সেই ঘটনার কথা জানতে পেরে ব্লকের বিডিওর উদ্যোগে পঞ্চায়েত কার্যালয়ে পাঠাতে হয় পুলিশ পর্যন্ত। অভিযোগ, সেই রাগেই জিয়ারুল বাড়ি ফেরার সময় বান্দিপুর এক গ্রাম পঞ্চায়েতের কদমতলা গ্রামে তাঁকে একা পেয়ে মারধর করে প্রধান অনুগামীরা। আর এরই প্রতিবাদে,মঙ্গলবার বিকেলে বিডিওর কাছে গিয়ে সকলেই স্মারকলিপি জমা দেন পঞ্চায়েতের র্নিবাহী সহায়করা।

বস্তুত, বান্দিপুর এক গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নমিতা কোটাল, সহ তাঁর অনুগামীরা চুপিসারে তাঁদের মদনপুষ্ট লোকেদের, টেন্ডার প্রক্রিয়া জমা নিয়ে নেয়। আর যাতে কেউ না টেন্ডার প্রক্রিয়া জমা দিতে পারে তার জন্যই কয়েকদিন ধরে গ্রাম পঞ্চায়েতে অনুপস্থিত ছিলেন প্রধান। এমনটাই অভিযোগ করে আসছিলেন এলাকাবসী। যদিও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের বিডিও অমিত ঘোষ। অপরদিকে, এ বিষয়ে সুর ছড়িয়েছেন চন্দ্রকোনা দুই পঞ্চাশ সমিতির সভাপতি হীরালাল ঘোষ। সংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি প্রধানের বিরুদ্ধেই চরম দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

বান্দিপুর এক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নমিতা কোটালের সঙ্গে যোগাযোগ করার একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তিনি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হননি। তবে তিনি ফোন মারফত জানিয়েছেন নিবাহী সহায়ক বিডিও নির্দেশে টেন্ডার প্রক্রিয়া জমা নিয়ে ভুল করেছে। তবে তিনি মারধর গণ্ডগোলের বিষয়টি পুরোই এড়িয়ে গিয়েছেন। অভিযুক্ত ব্লক তৃণমূলের যুবনেতা, তাপস দোলই এর সঙ্গে যোগাযোগের একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও ভিন্ন অজুহাতে তিনি সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার মুখোমুখি হননি। তবে ফোনে মারধরের ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন।

ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে বেশ কয়েকজনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে।