
শালবনি: একজন গত ১৪ বছর ধরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। অন্যজন জিন্দাল গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর। শালবনিতে জিন্দাল গোষ্ঠীর তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে প্রথমজনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন দ্বিতীয়জন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করে জিন্দাল গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর সজ্জন জিন্দাল বললেন, “দিদিকে নিয়ে রাজ্যের সবাই খুশি। যখনই দিদির সঙ্গে কথা বলি মনে হয় যেন পরিবারের কারও সঙ্গে কথা বলছি।”
সোমবার শালবনিতে জিন্দল গোষ্ঠীর তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পে ৮০০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিটের জন্য ১৬ হাজার কোটি লগ্নি করছে জিন্দল গোষ্ঠী। এটি একটি গ্রিনফিল্ড থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট। শিলান্যাস অনুষ্ঠানে স্ত্রী সঙ্গীতা জিন্দাল ও পুত্র পার্থ জিন্দালকে নিয়ে উপস্থিত ছিলেন সজ্জন জিন্দাল।
শিলান্যাস অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করে এই শিল্পপতি বলেন, “দিদির সঙ্গে আজ পনেরো মিনিট কথা বললাম। যখনই দিদির সঙ্গে কথা বলি মনে হয় যেন পরিবারের কারও সঙ্গে কথা বলছি। আমরা মুম্বই থেকে এসেছি, কিন্তু দিদির সঙ্গে কথা বললে মনে হয় এখানেই থেকে যাই।”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সজ্জন জিন্দাল
দশ বছর পর তিনি শালবনিতে এসেছেন জানিয়ে সজ্জন জিন্দাল বলেন, “রাস্তায় আসতে আসতে এত উন্নয়ন দেখলাম। এমনই উন্নয়ন সারা দেশে হওয়া উচিত। দেখে মনে হয়, এখানে সবাই খুব খুশিতেই আছে। আমার ছেলে এই প্রজেক্টটা দেখে। আমরা এখানে পরিবারের মতো সবাই আছি। এটা আপনাদের জমিতে তৈরি হচ্ছে। দিদি আমাকে বলেছিলেন যে এখানে কারখানা তৈরি করলে আমি যেন এখানকার মানুষের দিকটাও ভাবি। এটা আমার প্রতিশ্রুতি যে এখানে এই কারখানা থেকে আপনারা উপকৃত হবেন। এটা আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি।”
গত ১০-১২ বছরে রাজ্যে দ্রুত উন্নয়ন হচ্ছে জানিয়ে মমতার প্রশংসা করে সজ্জন বলেন, “লক্ষ বছরে এমন লিডার একবারই পাওয়া যায়। তাঁর মনে দয়া, মায়া আছে। ভাবনা আছে। প্রেরণা আছে। গরিবদের জন্য ভাবেন তিনি। যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।” মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “ব্যস্ত সূচির মধ্যে সময় বের করে এখানে আসার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।” জয় বাংলা বলে নিজের বক্তব্য শেষ করেন জিন্দাল গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর।