Death In Road Accident: ট্রাকের ধাক্কায় সাইকেল আরোহীর মৃত্যু, পুলিশের গাড়ি ভেঙে উল্টে দিল জনতা
Death in Road Accident: বুধবার রাতে উত্তেজনা ছড়ায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা থানার শ্রীনগর রথতলা এলাকায় রামজীবনপুর-ক্ষীরপাই রাজ্যসড়কে।
পশ্চিম মেদিনীপুর: কাজ সেরে সাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। রাজ্য সড়কের ধার দিয়েই যাচ্ছিলেন। একটি ট্রাকের ধাক্কায় ছিটকে পড়েন সাইকেল থেকে। তারপর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু। পুলিশ দেহ উদ্ধার গেলে বিক্ষোভের মুখে পড়ে। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়িও। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা শ্রীনগর রথতলা এলাকায়। মৃতের নাম রবীন্দ্র চৌধুরী (৫২)।
বুধবার রাতে উত্তেজনা ছড়ায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা থানার শ্রীনগর রথতলা এলাকায় রামজীবনপুর-ক্ষীরপাই রাজ্যসড়কে। ওই এলাকার বাসিন্দা রবীন্দ্র চৌধুরী সাইকেলে শ্রীনগর বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। সেসময় রামজীবনপুর থেকে ক্ষীরপাই রুটে যাওয়া একটি ট্রাক ধাক্কা মারে সাইকেল আরোহীকে।
সাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। মাথায় গুরুতর চোট লাগে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় মৃত্যু হয় রবীন্দ্র চৌধুরীর। এই ঘটনায় উত্তেজনা দেখা দেয় স্থানীয়দের মধ্যে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চন্দ্রকোণা থানার পুলিশ। রামজীবনপুর ফাঁড়ির পুলিশ পৌঁছলেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা।
পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় স্থানীয়দের। উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে বলেও অভিযোগ। এমনকি উল্টে দেওয়া হয় পুলিশের গাড়ি। ঘটনার পর এলাকায় চাপা উত্তোজনা ছড়ায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, “এখানে প্রতি রাতেই অত্যন্ত দ্রুত গতিতে লরি ট্রাক চলে। পুলিশকে একাধিকবার সেকথা জানানো হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। গতি নিয়ন্ত্রণের কোনও ব্যবস্থা নেই। বেপরোয়া গতির জন্যই এলাকার মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে।”
প্রসঙ্গত, রবিবার কাকভোরে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে নদিয়ায়। পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ১৮ জন শ্মশানযাত্রী। মৃতদেহ সত্কার করতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে। উত্তর চব্বিশ পরগনার বাগদার পারমদন এলাকার বাসিন্দা শিবানি মুহুরীর মৃত্যুর পর ঠিক হয়, সত্কার করা হবে পাশের জেলা নদিয়ার নবদ্বীপে। সেই মতো রাতেই আত্মীয়, পরিজন, গ্রামবাসী মিলিয়ে পঁচিশ-ছাব্বিশজন মৃতদেহ নিয়ে মালবাহী গাড়িতে সত্কারের জন্য রওনা হন। এরপরই নদিয়ার ফুলবাড়িতে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সেই শববাহী গাড়ি।
ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় কয়েকজনের। সকলকেই উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। সেখানেও মৃত্যু হয় কয়েকজনের। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ছ’জনকে কলকাতার হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে যান পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। লরির চালককে আটক করেছে পুলিশ। শববাহী গাড়ির চালকের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।
এরপরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও। নদিয়ার ভয়াবহ পথদুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে বিশেষ পদক্ষেপ নবান্নের। রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর পৌরহিত্যে সোমবার এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক, পুলিশসুপার, পিডব্লুডির আধিকারিকরা সেই বৈঠকে অংশ নেন। ছিলেন পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরাও। সেই বৈঠকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, রাস্তার ধারে যে সমস্ত সরকারি হাসপাতালগুলিতে এখনও ট্রমা কেয়ার ইউনিট নেই, তা অতি দ্রুততার সঙ্গে তৈরি করতে হবে। এই ট্রমা কেয়ার সেন্টার থাকা অত্যাবশ্যক বলে জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য।
মঙ্গলবার সকালে কৃষ্ণনগর হাঁসখালি রাজ্য সড়কে ফুলবাড়ির দুর্ঘটনাগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে এলেন ৪ সদস্যের বিশেষ ফরেনসিক দল। মঙ্গলবার সকালে কৃষ্ণনগর হাঁসখালি রাজ্য সড়কে ফুলবাড়ির দুর্ঘটনাগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে এলেন ৪ সদস্যের বিশেষ ফরেনসিক দল।