বেলদা : বিশেষভাবে সক্ষম ছেলেকে বেধড়ক মারছিল বাবা। নাতির কষ্ট দেখে সহ্য করতে পারেননি দাদুকে। বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে নিজের ছেলেকে মেরে (Murder) ফেলার অভিযোগ উঠল বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) বেলদা থানার অন্তর্গত কিয়াঝুরী গ্রামে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনাস্থলে গিয়েছে বেলদা থানার পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কিয়াঝুরী গ্রামে বাড়ি মৃন্ময় প্রামাণিকের। বাড়িতে রয়েছে তাঁর ২১ বছরের বিশেষভাবে সক্ষম ছেলে রাজু প্রামাণিক। সূত্রের খবর, এদিন আচমকা ছেলেকে বেধড়ক মারতে থাকেন মৃন্ময়। ছেলের এই কাণ্ড দেখে প্রতিবাদ করেন তাঁর বাবা গুইরাম প্রামাণিক। মারমুখী ছেলের হাত থেকে বাঁচাতে যান নাতিকে। অভিযোগ, তাতেও দমানো যায়নি মৃন্ময়কে।
নাতিকে ছাড়াতে গেলে গুইরামকেও বেধড়ক মারতে শুরু করেন তাঁর ছেলে। পরিবার সূত্রে খবর, তখনই রাগের মাথায় বাঁশ দিয়ে মৃন্ময়ের মাথায় আঘাত করেন বছর পঁচাত্তরের গুইরাম। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৩৯ বছরের মৃন্ময়ের। খবর চাউর হতেই ছুটে আসেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরাই গুইরামকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। অপরদিকে আহত রাজু প্রামাণিককে উদ্ধার করে বেলদা গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গিয়েছে বেলদা থানার পুলিশ।
সূত্রের খবর, যদিও ঘটনার সময় মৃন্ময় মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। তাঁর স্ত্রীর অভিযোগ, প্রায়শই মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে এসে অশান্তিও করতেন মৃন্ময়। বাড়িতে লেগেই থাকত অশান্তি। স্থানীয় বাসিন্দা সুভাষ রায়চৌধুরীর মুখেও একই সুর। তিনি বলেন, “চিৎকার চেঁচামেচি শুনে দেখি এই কাণ্ড। এসে দেছি মৃন্ময় রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছে। মাথা ফেটে গিয়েছে। ওর বাবাওর মাথা ফেটে গিয়েছে। তবে বিগত কয়েকদিন ধরে মৃন্ময় প্রায়শই মদ খেয়ে বাড়িতে আসত। অশান্তিও করত। আজও মদ খেয়ে এসেছিল। ছেলের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই আজ ওর বাবা ওকে থামাতে গিয়েছিল।”