AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Gas Cylinder Blast: কালীপুজোর রাতে রান্নার সময়ে আচমকাই বিস্ফোরণ, চার দিনের মাথায় শেষ হল ২ জনের লড়াই

Gas Cylinder Blast: তিন জনের অবস্থা মূলত আশঙ্কাজনক ছিল। রাতেই স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চার দিন চিকিৎসা চলে।

Gas Cylinder Blast: কালীপুজোর রাতে রান্নার সময়ে আচমকাই বিস্ফোরণ, চার দিনের মাথায় শেষ হল ২ জনের লড়াই
গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে মৃত্যু
| Edited By: | Updated on: Nov 01, 2022 | 11:47 AM
Share

পশ্চিম মেদিনীপুর: চার দিনের লড়াই শেষ হল। কালীপুজোর রাতে রান্না করার সময় গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আগুন লেগেছিল। অগ্নিদগ্ধ হয়েছিলেন চার জন। টানা চার দিন ধরে চলছিল যমে মানুষে লড়াই। মঙ্গলবার সকালে মৃত্যু হয় দুজনের। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে দুই জনের। মৃত দুজনের নাম কাশীনাথ মণ্ডল ও মিঠু বেরা। বাকি দু’জন এখনও চিকিৎসাধীন। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণার খুড়শি গ্রামে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খুড়শি গ্রামের এক পাড়ায় কালীপুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। মূলত খুড়শি গ্রামের বাসিন্দা অসিত জানার বাড়িতে কালীপুজো উপলক্ষে রান্নার কাজ চলছিল। গ্রামে সকলেই খাওয়া দাওয়া করেন এক সঙ্গে বসে। আলাদা করে ওভেন ও গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

জানা যাচ্ছে, সেদিন রান্নার সময়ে আচমকাই গ্যাসের গন্ধ পেয়েছিলেন কয়েকজন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে যায়। মুহূর্তে আগুন ধরে যায়। রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন কয়েকজন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন সরে যেতে পারলেও আগুন লেগে যায় চার জনের গায়ে। এলাকারই বাসিন্দারাই কোনওরকমভাবে কম্বল চাপা দিয়ে আগুন নেভান। কিন্তু এই দুজনের শরীরের প্রায় আশি শতাংশ আগুনে পুড়ে যায়।

তিন জনের অবস্থা মূলত আশঙ্কাজনক ছিল। রাতেই স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চার দিন চিকিৎসা চলে। কিন্তু দুজনের অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তাঁদের পরে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। জানা গিয়েছে, অগ্নীদগ্ধ হওয়া কাশীনাথ ও মিঠুর মৃত্যু হয়। এক জনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া। স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, “কী থেকে যে কী হয়ে গেল, কিছু বুঝতেই পারছি না। এই পুজো নিয়ে আমাদের গ্রামের মানুষের উৎসাহ তুঙ্গে থাকে। সবাই সকাল থেকে মজা করছিলাম। গ্যাসের গন্ধ রান্নার সময়ে অনেকেই পেয়েছিলেন। কিন্তু সিলিন্ডার যে এমন ফেটে যাবে… আমরা ভাবতেও পারছি না।”