
পশ্চিম মেদিনীপুর: পুজোর আগে কি ফের প্লাবনের আশঙ্কা? আলিপুর আবহাওয়া দফতর যা পূর্বাভাস দিচ্ছে, তা যথেষ্টই আশঙ্কা। দিঘার উপর দিয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত সক্রিয় মৌসুমী অক্ষরেখা। উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। ফলে বৃহস্পতিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টি পশ্চিম মেদিনীপুর ও বাঁকুড়া জেলায়।
এমনিতেই জলযন্ত্রণা থেকে মুক্তি নেই ঘাটালের। ১২ টি ওয়ার্ড এখনও জলমগ্ন। একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। জলে ডুবে রয়েছে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট। পুজোর আগে নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না বানভাসি এলাকার বাসিন্দারা। ত্রাণ বিলি চলছে। চন্দ্রকোণায় কেঠিয়া নদীর জলস্তর কমলেও, ঘাটালের পরিস্থিতি থমকে রয়েছে। মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস বলছেন, “খুব কম হলেও ঘাটালের জল কমছে। যদি আর বৃষ্টি না হয়, তাহলে পুজোর আগে সমস্যা মিটতে পারে।”
গত তিন দিন ধরে ঝাড়খণ্ডে চলছে প্রবল বৃষ্টি। পাঞ্চেত ও মাইথন থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়িয়েছে DVC। দুই জলাধার থেকে ৫৫ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়ছে DVC। দামোদর ও মুণ্ডেশ্বরী নদীর জলস্তর আরও বাড়ার আশঙ্কা। এরফলে দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলা, দামোদর সংলগ্ন এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কা রয়েছে। কমলা সতর্কতা জারি করেছে DVC।
এদিকে আবার ভাঙন নিয়ে আশঙ্কায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা ব্লকের বালি ১ নম্বর পঞ্চায়েতের বাসিন্দা। কংক্রিটের বাঁধে ধস নামছে। ধসে বাঁধ চলে গিয়েছে, গোমর নদীর গর্ভে। সেচ দফতরের কর্মীরা বাঁধ মেরামতি চালাচ্ছেন। ফলে এরপর বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যথেষ্টই কষ্টের।