AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Ghatal Flood Situation: জল কমলেও বিপদ কি টলবে? এবার ঘাটালবাসীর নয়া আতঙ্ক ধস!

Bengal Flood: ভগবন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কেশাডাল গ্রামের এলাকাবাসীর অভিযোগ, গ্রাম থেকে প্রায় ৫০ ফুট দূরে ছিল নদী। কিন্তু ধসের ফলে নদী একেবারে গ্রামের সামনে এসে পৌঁছে গিয়েছে।

Ghatal Flood Situation: জল কমলেও বিপদ কি টলবে? এবার ঘাটালবাসীর নয়া আতঙ্ক ধস!
ক্রমেই ভয়াবহ হচ্ছে ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি। নিজস্ব চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Oct 02, 2021 | 7:19 AM
Share

মেদিনীপুর: ক্রমেই ভয়াবহ হচ্ছে ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি। শিলাবতী নদীর পাড়ে একাধিক জাগায় ধস দেখা দিয়েছে। যার জেরে চরম আতঙ্কের প্রহর গুনছে এলাকাবাসী। ভয়, যে কোনও সময় ঘরবাড়ি নদীর করাল গ্রাসে না চলে যায়।

ধসের আতঙ্কে ঘুম উড়েছে ঘাটাল মহকুমার বাসিন্দাদের। চন্দ্রকোণার শিলাবতী নদী লাগোয়া ভগবন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রামে নদী পাড়ে দেখা দিয়েছে ধস। এই ধস লাগার হতে থাকলে নদীতে তলিয়ে যেতে পারে নদী লাগোয়া বাড়িগুলি। জলস্তর কমতে শুরু করতেই নদী বাঁধের ধস ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।

এমনকী ঘাটালের ঝুমি নদী তীরবর্তী এলাকায় মনসুকা এলাকাতেও পিচের রাস্তাতে দেখা দিয়েছে ধস। রাস্তা দিয়ে প্রবল বেগে বইছে ঝুমির জল। দেখে বোঝার উপায় নেই কোনটা রাস্তা, কোনটা নদী! রাস্তার নিচে থাকা পানীয় জলের পাইপ লাইনও ভেঙে গিয়েছে।

চন্দ্রকোণা-২ ব্লকের ভগবন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শিলাবতী নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের ভয়, প্লাবনে সবকিছু তো ভাসিয়েছেই। এবার মাথার ছাদটুকুও না ভেঙে পড়ে। এলাকার মানুষ বলছেন, নদীর জল যখন বাড়ছিল তখন ধসের ফলে রাতের ঘুম উড়েছিল। রাত পাহারা দিতে হয়েছে। কিন্তু জল কমলেও পিছু ছাড়ছে না সেই ভয়।

মাটি আলগা হতে শুরু করেছে নদী তীরবর্তী রাস্তায়। এর মধ্যে আবার যদি ডিভিসি থেকে জল ছাড়ে, শিলাবতী নদীর জলস্তর বাড়ে, তাহলে আর রক্ষা নেই। এই শিলাবতী নদীর বাঁধ ভাঙলে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হবে বলে এলাকাবাসীর ভয়।

ভগবন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কেশাডাল গ্রামের এলাকাবাসীর অভিযোগ, গ্রাম থেকে প্রায় ৫০ ফুট দূরে ছিল নদী। কিন্তু ধসের ফলে নদী একেবারে গ্রামের সামনে এসে পৌঁছে গিয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ৩৪ বছরের বাম জমানাতে বারবার বলেও কিছুই হয়নি, এখনও সেই ধরনের কোনও প্রশাসনিক সুরাহা পাওয়া যাচ্ছে না যদিও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, এই নদী বাঁধ বেহাল। এই নদীর পরিস্থিতি নিয়ে তাঁরাও উদ্বিগ্ন।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল মহকুমার ঘাটাল ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা দীর্ঘদিন ধরেই জলবন্দি। এই অবস্থায় যোগাযোগের একমাত্র উপায় হয়ে ওঠে ডিঙি ও নৌকা। দীর্ঘদিন ধরে জল বন্দি থাকার ফলে কিছুটা হলেও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছিল ঘাটাল। ফের বৃষ্টি আর ব্যারেজের ছাড়া জলে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ঘাটালে। প্রশাসন সূত্রে খবর, এক টানা বৃষ্টির ফলে মাটির বাঁধন আলগা হয়ে প্রথম দিনই চন্দ্রকোনা ও ঘাটাল এলাকায় বেশ কয়েকটি মাটির বাড়ি জলের তলায় চলে গিয়েছে। জলের স্রোত আরও বাড়লে চন্দ্রকোনার বসনছোড়া গ্রাম পঞ্চায়েত ভগবন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ও মনোহরপুর এলাকায় শিলাবতী নদীর বাঁধ নতুন করে ভাঙতে পারে বলে দুশ্চিন্তায় প্রহর গুনছে এলাকার মানুষজন।

আরও পড়ুন: Kulti: মাটির নীচে চোরা কুঠুরিতে সারি সারি অস্ত্র, কারবারের জাল বিস্তৃতি যোগীরাজ্যেও!