Pradhan Mantri Awas Yojana: আবাস যোজনার ঘরের তালিকায় মায়ের নাম, ‘চক্রান্ত’ দাবি উপ-প্রধানের
Awas Yojana: ইতিমধ্যেই এই নিয়ে পড়েছে পোস্টার। তাতে লেখা রয়েছে, 'ঘর বিক্রি করল শাসকদল, বাড়ি পেল উপপ্রধানের মা।'
চন্দ্রকোনা: রাজ্যজুড়ে ভূরি-ভূরি অভিযোগ উঠছে আবাস যোজনার (Awas Yojana) তালিকায়। উত্তর থেকে দক্ষিণ সব জায়গায় একই অভিযোগ। এমন আবহে এবার উঠে এল পশ্চিম মেদিনীপুরের নাম। সেখানে আবাস যোজনার তালিকায় নাম রয়েছে উপপ্রধানের মায়ের। অথচ বাড়ি পাওয়ার তালিকায় নাম নেই যোগ্যদের। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে পড়েছে পোস্টার। তাতে লেখা রয়েছে, ‘ঘর বিক্রি করল শাসকদল, বাড়ি পেল উপপ্রধানের মা।’ আর পোস্টারকে ঘিরে চাপানোতর।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ১ নং ব্লকের মনোহরপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতর। মনোহরপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সঞ্জয় অধিকারীর মা অঞ্জলি আধিকারীর নাম রয়েছে আবাস যোজনা তালিকায়। শনিবার সকালে মনোহরপুর বাজার, মনোহরপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয় সহ বিভিন্ন এলাকায় একাধিক পোস্টারে পোস্টারে ছয়লাপ। সাতসকালে এমন পোস্টার পড়ায় তা দেখতে উৎসুক মানুষের ভিড় এলাকায়।
পোস্টারে উল্লেখ রয়েছে, “চন্দ্রকোনা-১ ব্লকের মনোহরপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে আবাস যোজনার ঘর বিক্রি করল শাসক দল,বাড়ি পেল উপপ্রধান সঞ্জয় অধিকারীর মা, প্রতিবাদে-বাড়ি না পাওয়া বিক্ষুব্ধ জনতা।” যদিও এই পোস্টারে সহমত প্রকাশ করেছে এলাকার মানুষজন। এলাকাবাসীর দাবি, শুধু গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের মা নন, আবাস যোজনা বাড়ি বণ্টনের ক্ষেত্রে চরম দুর্নীতি হয়েছে। যারা বাড়ি পাওয়ার যোগ্য নয়, তাঁরাও পেয়েছেন বাড়ি। উপযুক্ত ব্যক্তিরা পাচ্ছেন না। এমনকী ভাঙাচোরা মাটির বাড়ি, ত্রিপল টাঙিয়ে বসবাস করা দিনমজুর ব্যক্তির নাম তালিকা থেকে বাদ, আবার কারও তালিকায় নামও ঠাঁই পাইনি বলে দাবি।
বাড়ি পাওয়ার জন্য একাধিকবার প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েও এইসমস্ত অসহায় মানুষগুলোর জন্য সরকারি বাড়ি বরাদ্দ হয়নি। এই বিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সঞ্জয় অধিকারী বলেন, “যদি তালিকায় নাম থেকে থাকে, তাহলে বিডিও সাহেবকে বলব নামটি কেটে দেওয়ার জন্য।” একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে, নামের তালিকা হয়েছে সেইখানে তার মায়ের নামের সঙ্গে বাবার নাম ভুল উল্লেখ রয়েছে। একই সঙ্গে পোস্টারকে চক্রান্ত বলে দাবি করেন তিনি।
এবিষয়ে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি সবুজ মজুমদারের দাবি, এই পোস্টার আসলে তৃণমূলেরই গোষ্ঠী কোন্দলের বহিঃপ্রকাশ। এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সূর্যকান্ত দলুই বলেন, “২০১৮ সালে যাদের নাম নথিভুক্ত হয়েছে। সেই হিসাবে ওই লিস্টে তার নাম ছিল। বর্তমানে পরীক্ষা করে দেখেছি লিস্টে তৈরি হয়েছে। এতে ভুল আছে বলে মনে করি না। যদি থেকে যায় তাহলে আমরা তা সমাধান করব।”